আজই সকালে নির্যাতিতার পরিবারকে আদালতের কাজের জন্য লখনউ নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানায় উত্তরপ্রদেশ সরকার। এলাহাবাদ হাইকোর্টে আজ ফের হাথরস শুনানি। ইতিমধ্যেই লখনউয়ে পৌঁছে গিয়েছেন নির্যাতিতার পরিজনরা। তার জন্য আগের থেকেই দেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসক ও পুলিস সুপার।
সারা দেশ এখন হাথরস নিয়ে উত্তাল, তার মাঝেই কিছু দিন আগেই এই নিয়ে মুখ খোলে সুপ্রিম কোর্ট। হাথরস-কাণ্ডে ওই দলিতকন্যার পরিবারকে যেন যথোপযুক্ত সুরক্ষা দেওয়া হয় সেকথা বলেন সুপ্রিম কোর্ট। এমনকি এই কাণ্ডে যাঁরা সম্ভাব্য সাক্ষী তাঁদেরও সুরক্ষা দেওয়ার কথা বলা হয়। সকলের অগোচরেই যোগী সরকার সুপ্রিম কোর্টকে হাথরস-কাণ্ডের সিবিআই তদন্তের অনুমতি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল।
হাথরস কান্ড নিয়ে সারা ভারত জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। নির্যাতিতার মৃত্যুর পরিবারের আপত্তি অগ্রাহ্য করেই কিছু দিন আগেই ভোরে ওই যুবতীর দেহ সৎকার করে দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ৷ অন্য দিকে হাথরসের দলিত তরুণীকে মধ্যরাতে দাহ করার ঘটনায় কাঠগড়ায় উঠেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এর নাম।
এরই মধ্যে ফরেনসিক রিপোর্টের উল্লেখ করে যোগী রাজ্যের পুলিশের দাবি, তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়নি।আজ সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ কড়া নিরাপত্তায় হাথরস থেকে লখনউয়ের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে অভিযোগকারী পরিবার।হাথরস নিয়ে প্রতিদিনই উঠে আসছে নানা তথ্য, এবার চার অভিযুক্ত ধর্ষণ নিয়ে নতুন তথ্য দিয়েছে। তাঁদের মতে ধর্ষণ নয়, অনার কিলিংয়ের শিকার হয়েছে ১৯ বছরের ওই দলিত তরুণী।