“আশ্বিনের মাঝামাঝি উঠিল বাজনা বাজি, পূজার সময় এল কাছে। মধু বিধু দুই ভাই ছুটাছুটি করে তাই, আনন্দে দু-হাত তুলি নাচে।”
রবীন্দ্রনাথের এই কবিতা, এই বছর প্রথম বেমানান হয়ে গেল। কোথায় আশ্বিন? শাস্ত্রমতে একই মাসে দু’টো অমাবস্যা থাকলে তাকে মল মাস বলে। এবারে আশ্বিন সেই মলমাস। কার্তিকে এবার আগমনীর সুর বাজবে। যদি মাত্র আর কয়েকদিন বাকি এই মহোৎসবের। তারপরেই শুরু হবে দেবীর বোধন। এইবছর করোনা মহামারীর জন্য সব কিছু এলোমেলো হয়ে যায়। শাস্ত্র, শিক্ষা, নিয়ম, শরীর, সব কিছু এক গোলকধাঁধার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। যেন পৃথিবীর রিফ্রেশ বটন কেউ প্রেস করে দিয়েছে।
সাধারণত ভাদ্রমাসই মলমাস হয়ে থাকে। তবে এই বছর সবই উল্টো পথে যাচ্ছে। তিথি মেনে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে গেছে দেবী পক্ষ। এই বছর প্রথম মহালয়ার ৩৫ দিন পর পুজো। ২২ অক্টোবর থেকে শুরু হবে পুজো। এবারে দেবী কিসে চেপে আসছেন জানেন? গত বছর দেবীর আগমন আর গমন দুটোই ঘোড়ায় ঘটেছিল। শাস্ত্রে আছে। যেই বছর দেবী একই পদ্ধতিতে আসেন ও গমন করেন সেই বছর কোন না কোন দুর্যোগ নামে।
ঠিক তাই, আমরা প্রত্যেকে করোনার মধ্যে দিয়ে যাত্রা করছি। তবে এই বছর দেবী আসছেন, দোলায়। দোলা হল মড়কের প্রতীক। মা বিদাই নেবেন নৌকায়। নৌকা হল বন্যার প্রতীক। তবে ভাল ফসলও বোঝায়। এখনও এই পৃথিবী কিছুটা সুস্থের পথে। মহোৎসবের আনন্দে মেতেছে বিভিন্ন দেশের প্রতিটা কোণ। তবে আগামী দিন কী হতে চলেছে তা সময় বলবে।