কলকাতা: ‘বেকার মেঘেরা চলল দূর/শরৎ আকাশে ব্যথার সুর’, কবীর সুমনের বিখ্যাত গানের লাইনটিই হল এবারে নাকতলা উদয়ন সংঘের পুজোর থিম। মা আসতে আর মাত্র সাতদিন বাকি। করোনা পরিস্থিতিতে দূর্গোৎসবের মধ্য দিয়েই মানুষ একটু আনন্দ পাওয়ার চেষ্টা করছে। যদিও এই আনন্দে মেতে ওঠার ফল যেন ভয়ঙ্কর না হয়, এই কামনাই করছেন রাজ্যের চিকিৎসকরা। তবুও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মেনে পুজো কমিটিগুলি সমস্ত গাইডলাইন মেনে পুজোর আয়োজন করছে। আর দক্ষিণ কলকাতার একটি অন্যতম পুজো হলো নাকতলা উদয়ন সংঘের পূজো। এই পুজো শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ে পুজো বলেই চিহ্নিত করা হয়। আর এবার সেখানেই কবীর সুমনের এই গানের মাধ্যমে পরিযায়ী শ্রমিকদের ব্যথা তুলে ধরা হবে পুজোর থিম হিসাবে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ লকডাউনের জেরে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার ছবি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের দ্বারা সকলের সামনেই বহুবার উঠে এসেছে। যা যে কোনও মানবিক হৃদয়কে নাড়া দেবে। আর পরিযায়ী শ্রমিকরা বেকার হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বেকার হয়ে গিয়েছে শরতের মেঘও। কারণ, চিরাচরিতভাবে এবার শরতের মেঘ সেই একই আনন্দ সকলকে দিতে পারল না। আর এই ভাবনাই নাকতলা উদয়ন সংঘ এবার তাদের থিমের মাধ্যমে তুলে ধরছে।
মন্ডপের চারপাশে ছোট বড় সাদা পেঁজা তুলোর মতো মেঘ ভাসতে দেখা যাবে। যদিও এই গানকে থিমের মাধ্যমে তুলে ধরাটা খুব একটা সহজ কাজ নয়। আর এই কঠিন কাজটি করছেন শিল্পী ভবতোষ সূতার। রাজ্য সরকারের বিধি মেনেই মন্ডপকে এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে যাতে মণ্ডপে প্রবেশ করার কোনও প্রয়োজন হবে না। দর্শনার্থীরা যেদিক দিয়ে আসবে না কেন প্রতিমা দর্শন করতে পারবে। তবে এর পাশাপাশি মন্ডপের ঢোকার মুখেই থাকবে একটি ব্রেকডাউন হওয়া ম্যাটাডর, যা পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে নিয়ে আসতে ব্যর্থ হয়েছে। করোনার মধ্যে মা দুর্গার আরাধনায় এই থিম একদম যুক্তিযুক্ত হয়েছে বলেই মনে করছেন উদ্যোক্তারা।