কলকাতা: পুজো আসতে আর মাত্র ছ’দিন বাকি। আর এরই মধ্যে প্রত্যেক পুজোমণ্ডপগুলি নিজেদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে। যদিও এবারের পুজো অন্যবারের পুজোর থেকে অনেকটাই আলাদা। করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেক বিধি-নিষেধ, নিয়মাবলীর মধ্যেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব কাটতে চলেছে। প্রত্যেক পুজো কমিটিগুলিকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু গাইডলাইন দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই মতই উদ্যোক্তারা আয়োজন করছেন। আর এবার এই বারোয়ারি পুজোগুলিকে বন্ধ করার আবেদন জানিয়ে এক জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হল হাইকোর্টে।
করোনা আবহের মধ্যে দুর্গোৎসবকে ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বেড়ে উঠেছে। শপিং মল, জুতোর দোকান এবং মার্কেট চত্বরে কার্যত সামাজিক দূরত্ববিধি ভুলে থিক থিকে ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই ভিড় দেখেই রাজ্যের চিকিৎসকরা আশঙ্কা করছেন যে, পুজোর পর রাজ্যবাসী করোনার ভয়াল রূপ দেখবে। এমনকি এতটাই করণা সংক্রমণ বেড়ে যাবে যে, হাসপাতালে হয়তো বেডও পাওয়া যাবে না, এমন আশঙ্কাও চিকিৎসা মহলের একাংশ করছে। আর এসবকে মাথায় রেখেই কেরলে ওনাম উৎসবের উদাহরণ দিয়ে বারোয়ারি পুজো বন্ধ করার আবেদন জানিয়ে এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কেরলে ওনাম উৎসবের পর হু হু করে করোনা সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছে। আর এই পরিস্থিতি দেখে ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রে গণেশ পূজো এবং মহরম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গুজরাটে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে গরবা। এমনকি গুজরাটে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, এক ঘণ্টার মধ্যে পুজো সারতে হবে এবং বাকি উৎসব বাড়িতেই পালন করতে হবে। এমন অবস্থায় এ রাজ্যে দুর্গোৎসব হচ্ছে। আর সে কারণেই এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, আগমিকাল, বৃহস্পতিবার এই মামলা হাইকোর্টে উঠবে। এই মামলার আইনজীবী হলেন সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। এখন হাইকোর্ট কী রায় দেয়, সেটাই দেখার।