টলিউডবিনোদন

করোনাকে হারালেন বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

Advertisement

অবশেষে করোনামুক্ত হলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। একইসঙ্গে কমছে তাঁর মূত্রথলির ইনফেকশনও। অভিনেতা সাড়া দিচ্ছেন অ্যান্টিবায়োটিকে। বেলভিউ নার্সিং হোম সূত্রে জানা গেছে, সৌমিত্রবাবুর তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাব অনেকটা কেটেছে। তিনি চোখ খুলেছেন। এমনকি গত রাতে তাঁর খুব ভালো ঘুম হয়েছে। আশার কথা,তাঁর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও ঠিকঠাক কাজ করছে। করোনা পজিটিভ হওয়ার চোদ্দ দিনের মাথায় আজ ফের তাঁর কোভিড টেস্ট করা হয় এবং রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। সৌমিত্রবাবুর শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা স্বাভাবিক হয়ে এলেও সোডিয়ামের মাত্রা ওঠা-নামা করছে। সৌমিত্রবাবুর সামান্য জ্বর রয়েছে। শীঘ্রই চিকিৎসকরা তাঁর এম.আর.আই এবং সিএসএফ রিপোর্ট বিশ্লেষণ করবেন।

পয়লা অক্টোবর থেকেই অসুস্থ ছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। জ্বর,কাশির মত উপসর্গ ছিল তাঁর। কোভিড টেস্ট করা হলে জানা যায়,তিনি করোনা পজিটিভ। 6 অক্টোবর তাঁকে বেলভিউ নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সৌমিত্রবাবুর 2006 সাল থেকে সিওপিডির সমস্যা রয়েছে। অভিনেতার শ্বাসকষ্ট ছিল। সিটি স্ক্যান রিপোর্টে বুকে কিছু না পাওয়া গেলেও এম.আর.আই রিপোর্টে জানা যায়, সৌমিত্রবাবুর পুরানো ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ছে তাঁর ফুসফুস ও মস্তিষ্কে। এছাড়া তাঁর মূত্রথলিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। বেলভিউ কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সৌমিত্রবাবুর জন্য 16 জন চিকিৎসকদের বিশেষ একটি টিম গঠন করা হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী সৌমিত্রবাবুর শরীরে দুই বার প্লাজমা থেরাপির প্রয়োগ করা হয়েছে। দ্বিতীয় বার প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও আকস্মিক তাঁর শ্বাসকষ্ট বাড়তে শুরু করে। অভিনেতার শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে শুরু করে এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে তাঁকে বাইপ‍্যাপ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাঁকে ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছিল।

তবে সৌমিত্রবাবু ক্রমশ চিকিৎসায় সাড়া দিতে থাকেন। তাঁর কন্যা পৌলমী সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন যে, বাইপ‍্যাপ সাপোর্ট সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তিনি সৌমিত্রবাবুর শুভানুধ্যায়ীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। গতকাল সকালে তাঁর তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাব ছিল। সৌমিত্রবাবুর স্নায়ু সংক্রান্ত সমস্যার কারণে তাঁর অস্থিরতা ছিল। কিন্তু গতকাল রাত থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়। তন্দ্রাচ্ছন্নভাব কাটতে শুরু করে এবং অস্থিরতাও কমে। 85 বছর বয়সে বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় করোনার বিরুদ্ধে হলেন ‘অপরাজিত’।

Related Articles

Back to top button