জলপাইগুড়ি: বাসের মধ্যে পুত্র সন্তানের জন্ম দিলেন এক মহিলা। সদ্যোজাতর নাম রাখা হয়েছে ‘রানার’। এই ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি কদমতলা এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পুরো ঘটনাটা যেন সকলের চোখের সামনে সিনেমার মত মনে হচ্ছিল। মা এবং পুত্র সন্তান দুজনেই এই মুহূর্তে ভাল আছে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে হলদিবাড়ি বেলতলা এলাকার বাসিন্দা রমজান প্রামানিক চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী জরিনা বেগমকে আলট্রাসনোগ্রাফি করাতে নিয়ে গিয়েছিলেন। আলট্রাসনোগ্রাফি করিয়ে ফেরার পথে জলপাইগুড়ি কদমতলা এলাকা থেকে রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাসে চেপে হলদিবাড়িতে ফিরছিলেন দুজনে।
দীর্ঘ পনেরো কিলোমিটারের যাত্রাপথে বাসের ঝাকুনিতে আচমকাই ওই মহিলার প্রসব বেদনা জেগে ওঠে। কোনওভাবেই নিজেকে সামলাতে না পেরে বাসের অন্যান্য যাত্রীদের কথায় বাস থামাতে বাধ্য হয় সংশ্লিষ্ট বাস চালক। তারপর মহিলা ছাত্রদের সাহায্যার্থে বাসের মধ্যেই পুত্র সন্তানের জন্ম দেন ওই মহিলা। বাসের মধ্যে থাকা অন্য যাত্রীরা ভীষণ খুশি হয়েছেন এই ঘটনায়। পুত্রসন্তানের জন্ম দেওয়ার পর নারী না কেটেই বাস চালক তড়িঘড়ি সকলকে নিয়ে হলদিবাড়িতে পৌঁছান। সেখানে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে বিএমএইচও ডাক্তার তাপস কুমার দাসের তত্ত্বাবধানে এম্বিলিকাল কর্ড কেটে মা ও শিশুকে আলাদা করে শুরু হয় চিকিৎসা পদ্ধতি। এই ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ছুটে যান মেখলিগঞ্জের বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গের রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা ভাইস চেয়ারম্যান অর্ঘ্য রায়প্রধান। রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা তরফেই ওই শিশুটির নাম রাখা হয়েছে ‘রানার’।