হাথরস গণধর্ষণ কাণ্ডে চার অভিযুক্তের বাড়ি থেকে রক্তের লাগা কাপড় উদ্ধার করল সিবিআই। ইতিমধ্যেই ওই লাল রঙ রক্তের নাকি অন্য কিছু তা পরীক্ষা কর্যে পাঠিয়েছে সিবিআই। কিন্তু অভিযুক্তদের বাড়ির লোকেদের দাবি ওটা রঙের দাম। কারণ চার জনের মধ্যে এক জন রঙের কারখানায় কাজ করেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তর প্রদেশের হাথরসে ওই যুবতীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। এই নিয়ে এখন এমনিতেই সারা উত্তরপ্রদেশ তোলপাড়।ঘটনার সপ্তাহ দুই পর মঙ্গলবার ভোরে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে যুবতীর মৃত্যু হয়৷ এর পরেই সারা ভারত জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়৷ নির্যাতিতার মৃত্যুর পরিবারের আপত্তি অগ্রাহ্য করেই এ দিন ভোরে ওই যুবতীর দেহ সৎকার করে দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
কিছুদিন আগেই হাথরস-কাণ্ডে ওই দলিতকন্যার পরিবারকে যেন যথোপযুক্ত সুরক্ষা দেওয়া হয় সেকথা বলেন সুপ্রিম কোর্ট। এমনকি এই কাণ্ডে যাঁরা সম্ভাব্য সাক্ষী তাঁদেরও সুরক্ষা দেওয়ার কথা বলা হয়। সকলের অগোচরেই যোগী সরকার সুপ্রিম কোর্টকে হাথরস-কাণ্ডের সিবিআই তদন্তের অনুমতি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল। ইতিমধ্যেই রাতের অন্ধকারে নির্যাতিতার দেহ পোড়ানোর সম্পূর্ণ দায় নিয়ে নিলেন হাথরসের জেলাশাসক পরভিন কুমার লক্সর।
এই দিন শুনানি চলাকালীন, আদালতে জেলাশাসক দাবি করেন ক্যানে কেরোসিন ছিল না, ছিল গঙ্গাজল।এছাড়াও ওই দিন তিনি জানিয়েছেন, জাতপাতের বৈষম্য নিয়ে উত্তেজন ছড়ানোরও আশঙ্কা ছিল। ছাড়া প্রশাসনের কাছে গাপন সূ্ত্রে খবর ছিল, কেউ বা কারা এই ঘটনাকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছিল। এমনকি নির্যাতিতার দেহে পচন ধরতেও শুরু হয়েছিল। এইসব ভেবেই তিনি দেহ পুড়িয়ে দেন।