কলকাতা: পুজো আসতে আর মাত্র হাতে গোনা দু’দিন বাকি। আর পুজোর মরশুমে যখন গা ভাসানোর জন্য রাজ্যের একাংশ ব্যস্ত হয়ে পড়েছে, তখনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাংলায় বাড়চ্ছে দৈনিক করোনা সংক্রমণ। কিছুতেই নাগালে আনা যাচ্ছে না করোনাকে। রাজ্যে বাড়ছে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এর পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। রাজ্যে রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হযেছে ৩,৯৯২ জন। এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হল ৩,২৫,০২৮।
পুজো আসছে। বাজারে ভিড়। সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই। তার ফল পড়ছে রাজ্যের কোভিড চিত্রে। লাগাতার বৃদ্ধি হচ্ছে দৈনিক সংক্রমণ। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনার শিকার হয়েছে ৬৩ জন। গত কয়েক দিনের থেকে সংখ্যাটা একটু বেশি। এ নিয়ে রাজ্যে করোনায় প্রাণ হারিয়েছে মোট ৬,১১৯ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা ৩,২৫,০২৮ হলেও এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ২,৮৪,৩২৫ জন। সুস্থতার হার ৮৭.৪৮ শতাংশ। আর এটাই উৎসব মুখে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে চিকিৎসকদের।
এর পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৮০৯ জন, মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। উত্তর ২৪ পরগনায় গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৮৫৮, মৃত্যু হল ১০ জনের। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আক্রান্ত ২৩৪ জন, মৃত্যু ৪ জনের।
তবে এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এখন প্রশ্ন হচ্ছে এটাই যে, উৎসবের আগেই যদি এই পরিসংখ্যান হয়, তাহলে দুর্গাপুজোর পরে রাজ্যে কী রূপ নিতে চলেছে সংক্রমণ, এ নিয়ে যথেষ্ট চিন্তার রয়েছেন রাজ্যের চিকিৎসকেরা। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে , সতর্কতা অবলম্বন না করলে সাংঘাতিক বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে রাজ্যে। করোনার ঢেউ আছড়ে পরার আশঙ্কায় আঁতকে উঠছে বিশেষজ্ঞরা। একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। পুজো উদ্যোক্তাদেরও গাইডলাইন মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে এর পরেও যারা শপিং মল, জুতোর শোরুমে ভিড় জমাচ্ছেন, তারা কি পুজোর দিনগুলোতেও বেরোবেন? সেটা কি আদৌ আনন্দদায়ক হবে নাকি মৃত্যুকে নিমন্ত্রণ করা হবে? এর উত্তর দেবে সময়।