কলকাতা: আজ, শুক্রবার মহাসপ্তমী। আর পূর্বঘোষিত পূর্বাভাস অনুযায়ী সকাল থেকেই মুখ ভার আকাশের। একে তো চারিদিকে করোনা পরিস্থিতি, তার ওপর আকাশের মুখ ভার, রাস্তাঘাট প্রায় শুনশান বললেই চলে। তার মধ্যেই মণ্ডপ থেকে বাড়িতে, চলছে পুজোর প্রস্তুতি। মন দিয়ে করা হচ্ছে মায়ের আরাধনা। সেরমই নিয়ম মেনেই শোভাবাজার রাজবাড়ির নবপত্রিকা স্নান করানো হয়। তিথি অনুযায়ী রাজবাড়ি থেকে ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ নবপত্রিকা স্নানের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।
উত্তর কলকাতার অন্যতম বনেদিয়ানা পুজো হল শোভাবাজার রাজবাড়ির পূজো। প্রত্যেক বছর এই পুজো নিয়ে বাঙালির মনে আলাদা একটা সেন্টিমেন্ট কাজ করে। কিন্তু বিধি মেনে অনেক নিয়মাবলীর মধ্যে এবারে দর্শনার্থীদের শোভাবাজার রাজবাড়িতে মা দুর্গা দর্শন করতে হবে। তবে সেটাও মাঠ থেকেই। ওপরে ওঠা যাবে না। কুমোরটুলি ঘাটে নবপত্রিকা পুজো আয়োজিত হয় নিয়ম ও নীতি মেনেই। কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে লোক কম হলেও সমস্ত নিয়ম মেনেই হচ্ছে পুজো। একাধিক বাড়ির পুজোর নবপত্রিকা স্বান চলছে কুমোরটুলি ঘাটে।
শোভাবাজার রাজবাড়িতে সাধারণত মহালয়ার দিনই মাতৃমূর্তির চক্ষুদান অনুষ্ঠান হয়। কিন্তু এ বছর মহালয়ার পর থেকেই মলমাস পড়ে যাওয়ায় তা করা গেল না। করোনা-আবহে পুজো নিয়ে অন্যরকম ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে শোভাবাজার রাজবাড়ি।
যিনি পুজো করছেন, প্রতিদিন তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। তিনি সব দিক থেকেই সম্পূর্ণ সুস্থ এটা নিশ্চিত করেই তাঁকে দিয়ে পুজো করানো হচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রত্যেক বছরের আনন্দ উল্লাসে মেতে না হলেও নিয়ম মেনে সর্বত্র মা দুর্গার আরাধনা হচ্ছে, এমনটা বলাই যায়।