‘দঙ্গল’ এর কথা ভলেননি নিশ্চয়। চার কন্যা সন্তান পেয়ে হতাশ হয়ে যাওয়া এক বাবা ও এক প্রাক্তন অপেশাদার কুস্তিগীরের গল্প অনেকের মনে দাগ কাটে। গীতা,ববিতাকে নিয়ে কুস্তির ময়দানে এগিয়ে যাওয়ার গল্প ছিল দঙ্গল। রুপালি পর্দায় ফতিমা সানা শেখ একজন সাকসেসফুল অভিনেত্রী হলেও ব্যক্তিগত জীবনের এক চরম লজ্জাকর ঘটনা শেয়ার করেন সংবাদমাধ্যমের কাছে। সম্প্রতি, সংবাদমাধ্যম পিঙ্কভিলা-র একটি সাক্ষাৎকারে তিনি নিজের জীবনের অতীতের এক ভয়ঙ্কর ঘটনার কথা শেয়ার করেন।
এই ‘দঙ্গল’-এ সুযোগ পাওয়ার আগে একাধিকবার তাঁকে প্রত্যাখ্যান পেতে হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ফতিমা নিজেই। সমাজে চরম ও নিঃশব্দ যৌন লিপ্সার স্রোত বইছে তা তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন। এমনকি মাত্র ৩ বছর বয়সেই যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন বলে জানান অভিনেত্রী ফতিমা সানা শেখ। তারপর থেকে রোজ লড়াই করতে হয়েছে তাঁকে। মেয়েদের রোজ লড়াইয়ে নামতে হয়, এমনকি বেশীরভাগ সময় যৌনতার নগ্ন স্বীকার চলে।
১৯৯৭ সালে ‘চাচি ৪২০’-এ শিশু চরিত্রে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ। তারপর ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করলেও আমির খানের ‘দঙ্গল’ মুভিতে জায়গা করে নেন তিনি। হয়ে ওঠেন আমিরের বড় মেয়ে গীতা। এই সিনেমার হাত ধরে সাফল্য পান ফতিমা।
ঝাঁ চকচকে সিনেমার দুনিয়ার গোপন কথাও অকপটে শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। বহুবার তাঁকে বহু পরিচালক প্রত্যাখান করেছেন বলে জানিয়েছেন। তাঁকে এও শুনতে হয়েছে, তুমি তো কখনও হিরোইন হতে পারবে না। তুমি দেখতে দীপিকার মতো নও, ঐশ্বর্যার মতোও নয়। কী করে হিরোইন হবে!
তবে আশা ছাড়েননি অভিনেত্রী। নারী-পুরুষের অসম লড়াইয়ে নিজের জায়গা ছিনিয়ে নিতে জানেন ফতিমা। খুব শীঘ্র ফতিমাকে দুটি সিনেমায় দেখা যাবে। সামনেই আসছে সামনেই ‘লুডো’ ও ‘সুরয পে মঙ্গল ভারী’।