একদমই ভাববেন না যে আতাফল একমাত্র আঁতেলরা খায়। হ্যাঁ বাজারে এই ফলের দাম বেশি, কিন্তু এর পুষ্টিগুণ অনেক। আতাফল কিন্তু মূলত যৌগিক ফল। এই ফলের মধ্যে অসংখ্য বীজ থাকে যেই বীজগুলো কিন্তু বিষাক্ত। যেমন আপেল আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে যতটা উপকারী কিন্তু আপেলের বীজ আমাদের শরীরের জন্য মারাত্মক, আতাও ঠিক সেই রকমই। ইংরেজিতে এর অনেক নাম রয়েছে। কেউ বলে কাস্টার্ড অ্যাপেল, কেউ বলে সুগার আপল, আবার কেউ বলে সুগার পাইন অ্যাপেল। এর নাম যাই হোক আজকে আমরা আলোচনা করব আতা ফলের কিছু পুষ্টিগুণ নিয়ে।
- আপনার যদি ডায়াবেটিস থেকে থাকে তবে আপনি নিঃসন্দেহে আতা খেতে পারেন। কারণ এর মধ্যে বিশেষ একধরনের ফাইবার আছে যা চিনির শোষণ কমিয়ে দেয়। এবং এর বায়োএক্টিভ অণুগুলো ডায়াবেটিস ও ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
- যারা শরীরে পিত্ত জনিত সমস্যার কারণে শরীরের জ্বালা অনুভব করেন তাদের জন্য আতা ফলের শাঁস এর রস দুর্দান্ত উপকারী। আপনি যদি সেই সময় পাকা আতার রস ২ থেকে ৩ চা চামচ খান তাহলে আপনার শরীরের জ্বালা কমে আসবে।
- আতা ফলের মধ্যে থাকে উচ্চমাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আপনার মধ্যে যদি সর্দি লাগার কোন সম্ভাবনা থাকে বা প্রবণতা থাকে তাহলে আপনি কিন্তু আতা ফল খেতে পারেন। এছাড়া আতা ফল প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে। ফলে এই ক্যালসিয়াম শরীরের হাড় গঠন ও মজবুত রাখার জন্য সাহায্য করে।
- যদি আপনার রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিকের থেকে কম থাকে তাহলে আপনি আতা ফল খেয়ে দেখতে পারেন। এটি যেমন হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সহায়তা করে তেমনি আতাফল আলসার ও এসিডিটি প্রতিরোধ করে। এই ফলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ফাইবার ও অন্যান্য মিনারেল।