কলকাতা: রাজ্যের সাত জেলার জেলাশাসক বদল করল রাজ্য সরকার। গতকাল, সোমবার নবান্ন থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। একুশের ভোটের আগে হঠাৎ রাজ্যের এমন কেন সিদ্ধান্ত, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা উঠেছে।
পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক ছিলেন বিজয় ভারতী। এবার তাঁকে বীরভূমের জেলাশাসক করে পাঠানো হয়েছে। এদিকে পূর্ব বর্ধমানের ডিএম করা হয়েছে এনামুল হককে। এদিকে মৌমিতা গোদারা বসু ছিলেন বীরভূমের জেলাশাসক। তার জায়গায় বিজয় ভারতীকে আনার ফলে তাঁকে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক বানানো হয়েছে।
এদিকে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক ছিলেন চৈতালি চক্রবর্তী। কিন্তু এবার থেকে তাঁকে স্পেশাল সেক্রেটারি হোমের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যাবে। ফলে তাঁর ফেলে আসা পদ অর্থাৎ উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসকের পদটিতে আইএএস সুমিত গুপ্তাকে বসানো হয়েছে। তিনি এতদিন WBIDC-র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ছিলেন। জেলাশাসক বদল করা হয়েছে দার্জিলিংয়েও। শশাঙ্ক শেটি এতদিন ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ এগ্রি মার্কেটিং কর্পোরেশনের ডিরেক্টর। কিন্তু তাঁকে এবার দার্জিলিং জেলার জেলাশাসক করে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে অভিষেক কুমার ছিলেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক। কিন্তু এবার থেকে তাকে জয়েন্ট সেক্রেটারি হায়ার এডুকেশন পদে দায়িত্ব সামলাতে দেখা যাবে। বদল ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর, নদীয়া জেলার মধ্যেও। নদীয়া জেলার জেলাশাসক ছিলেন বিভু গোয়েল আর তাকে পূর্ব মেদিনীপুরের ডিএম করে পাঠানো হয়েছে। ওদিকে পূর্ব মেদিনীপুর থেকে পার্থ ঘোষকে সরিয়ে নদীয়ার জেলাশাসক করা হয়েছে। আর এদিকে পোল্লাবলম এস ছিলেন দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক। কিন্তু তাঁকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জয়েন্ট সেক্রেটারি এল অ্যান্ড এলআর করে পাঠানো হয়েছে। সব মিলিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই বদল তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।