আজ ফের বিজেপির যুব মোর্চার মিছিল ঘিরে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে তৈরি হল চাঞ্চল্য। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অবনতি আটকাতে বিজেপি যুব মোর্চা দ্বারা বুধবার মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। আর সেই মিছিল ঘিরেই সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউর রাস্তায় তৈরি হল চাঞ্চল্য। বুধবার তথা আজ গেরুয়া শিবিরের রাজ্য সদর দফতর থেকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত মিছিল করার ডাক দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু পুলিশ ব্যারিকেড করে মুরুলী ধর সেন লেনের সামনেই আটকে দেয় মিছিল। কিন্তু ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যেতে চান বিজেপি কর্মীরা। ব্যারিকেড ভাঙতে দেখে তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। আর এরপরই রণক্ষেত্রের রূপ ধারণ করে কলকাতার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ এলাকা।
এর পরই শুরু হয় বিজেপির সাথে ধস্তাধস্তি। সেই ধস্তাধস্তি শেষ হলে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে বিক্ষোভ দেখান যুব বিজেপি মোর্চারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জলকামান ব্যবহার করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। পুলিশ সূত্রে খবর যে এরপরই ইট ছুড়তে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। তবে পালটা লাঠিচার্জের অভিযোগ তোলা হয়েছে গেরুয়া শিবির থেকে। এছাড়াও ৪০-৫০ জন কর্মী আহত বলেও দাবি করেছে বিজেপি। পুলিশের বিরুদ্ধে মহিলা কর্মীদের লাঞ্ছনার অভিযোগ ও তুলেছে গেরুয়া শিবির।
এই ঘটনা সামাল দিতে যুব মোর্চা কর্মীদের আটক করে পুলিশ। তাদের মধ্যে ছিলেন অভিনেত্রী রিমঝিম মিত্র এবং কাঞ্চনা মৈত্র বলে দাবি করেছেন বিজেপি কর্মীরা।
এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেন,”গণতন্ত্র আর নেই বাংলায়। মাথা ফেটেছে অনেক কর্মীরই। অনুমান করছি ৪০-৫০ জন হবে। কাঁদানে গ্রাস ছুড়েছে পুলিশ”। অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,” কি চলছে রাজ্যে এটা? আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বাধা দেওয়া হয়েছে অন্যায়ভাবে। পুলিশ জলকামান চালিয়েছে, কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে। আমরা জানি, রাজ্যকে তৃণমূল চালাচ্ছে , আর তাঁদের চালাচ্ছেন ওই সঞ্জীব গোয়েঙ্কা”।