এদিন পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাকে স্বাগত জানাতে সেখানে হাজির হয়েছিলেন মুকুল রায় এবং রাহুল সিনহা। সঙ্গে এয়ারপোর্টে এসেছিলেন পটাশপুর এর নিহত বিজেপি কর্মী মদন ঘড়ুইয়ের পরিবার। তাদের বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন অমিত শাহ। এছাড়াও এয়ারপোর্টের বাইরে উপস্থিত ছিলেন শয়ে শয়ে বিজেপি কর্মী সমর্থক। তাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল ব্যান্ড এবং তাশা।
সেখান থেকেই প্রথমে অমিত শাহ পৌঁছে গেলেন বাঁকুড়াতে। সেখানে শহর লাগোয়া পুয়াবাগান এ বিরসা মুন্ডার মূর্তিতে তিনি মালা দেন। এরপরে বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। বিরসা মুন্ডার মূর্তিতে মালা দেওয়ার সময় তিনি একটি ছোট্ট জনসভা করেন। সেখানে মমতা সরকারকে এক হাত নিয়ে অমিত শাহ বলেন,” মমতা সরকার কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে না।”
এছাড়াও তিনি সাধারণ মানুষের কাছে আর্জি রাখেন যেন তারা মমতা সরকারকে সরিয়ে বিজেপিকে একবার বাংলায় আসার সুযোগ দেন। তিনি আরো বলেছেন,”মমতার সরকারের মৃত্যু ঘন্টা বেজে গিয়েছে।” রাজনৈতিক মহলের মত, বিজেপির টার্গেটের তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ অনেকদিন ধরেই রয়েছে এবং এবারে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে তারা ময়দানে নেমে পড়েছে। এরই ফলশ্রুতি হিসেবে বঙ্গে জনসভা করতে এসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
কিন্তু, রাজ্যের শাসকদলের তরফেও অমিত শাহের মন্তব্যের পাল্টা মন্তব্য শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের তরফ থেকে সৌগত রায় বলেছেন, দিবা স্বপ্ন দেখছে বিজেপি, বাংলার মানুষকে ফাঁকা প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোন লাভ নেই।
শুধু সৌগত রায় নয়, রাজ্যের অন্যতম হেভিওয়েট নেতা এবং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও অমিত শাহ এর বিরোধিতায় নেমে পড়েছেন। তার বক্তব্য, অমিত শাহ বাংলায় এসেছেন শুধুমাত্র নাটক করতে। তবে, ২০২১ বিধানসভার আগে অমিত শাহের বঙ্গে আগমন নিয়ে বর্তমানে রাজ্য রাজনীতির পারদ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী।