চলতি বছরের করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যজুড়ে কালিপুজোতে কোথাও বাজি ফাটানো যাবে না বলে নির্দেশ দিল আদালত। এমনকি রাজ্যে বাজি বিক্রিও ব্যান করা হয়েছে। কালীপুজো দীপাবলি ছাড়াও ছট পুজাতেও বন্ধ বাজি। দুর্গাপুজোর মতোই দূরত্ববিধি মেনে ন্যূনতম আয়োজন এর সাথে কালীপুজো পালন করতে হবে। বিসর্জনে শোভাযাত্রা করা যাবে না এবং বিসর্জন ঘাটে জমায়েত করা যাবে না বলে আদালত জানিয়েছে।
আজকে আদালতে সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে কালীপুজো সম্বন্ধিত মামলাটি ওঠে। সেখানে তিনি দুর্গাপুজোয় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি জানিয়েছেন, কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া রাজ্য সরকার দুর্গাপুজোয় কোভিড প্রটোকল খুব ভালোভাবেই পালন করেছে। এর ফলে পুজোর পরে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে গোটা রাজ্যবাসী। সেই পরিপ্রেক্ষিতে দুর্গাপুজোর মতোই নিয়ম মেনে কালীপুজো পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এই বছরে বাজি ব্যবহার করলে বিপদ ঘনিয়ে আসবে বলে জানিয়েছে বোস ইনস্টিটিউটের পরিবেশ বিজ্ঞানী অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়ও। এখন রাতের দিকে তাপমাত্রা কিছুটা হলেও যাচ্ছে এবং কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। এই সময়ে বাজি পোড়ালে কুয়াশার সাথে ধোঁয়া মিশে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করবে। অন্যদিকে করোনাভাইরাস ড্রপলেটের সাথে থেকে বেশিদূর যেতে পারে না। কিন্তু তোমার সাথে এই মারণ ভাইরাস বেশি দূর অব্দি যেতে পারবে ও অনেকক্ষণ বাতাসে ভেসে থাকতে পারবে। এর ফলে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকবে।
একই সুরে রাজ্য সরকারও বঙ্গবাসীকে এই বছরে বাজি না পড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছিল। মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এবছর বাজি ফাটিয়ে দূষণ ছড়ালে সেই দূষণ করোনাকে মারাত্মক করে তুলবে। এছাড়াও দুর্গাপুজোর মতোই কালীপুজোতেও আড়ম্বরপূর্ণ বিসর্জন করা যাবে না। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আজ আদালতের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে বাজি বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ও দুর্গাপুজোর মতোই দূরত্ব বিধি মেনে ন্যূনতম আয়োজনে কালীপুজো করার আদেশ দিয়েছে।