নিউজরাজ্য

কালীপুজো মণ্ডপে No-Entry,কালীঘাট দক্ষিনেশ্বর বন্ধ রাখার কড়া নির্দেশ আদালতের

Advertisement

সম্প্রতি কালিপুজোর বাজি বন্ধের আর্জিতে মামলা গিয়েছিল হাইকোর্টে। সেই মামলারই শুনানি ছিল আজ। শুনানি দেন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ডিভিশন বেঞ্চে। শুনানির পর কালীপুজো মণ্ডপের এন্ট্রি নিয়ে ওঠে কথা। তখনই কালীপুজো মণ্ডপে No ENTRY এর পক্ষে মত দিল ডিভিশন বেঞ্চ। এইদিন হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণ আধিকারিকরা জানান যে মণ্ডপগুলি ৩০০ বর্গমিটারের কম এলাকা জুড়ে বিস্তৃত সেই সব মণ্ডপে ৫ মিটার দূরে নো এন্ট্রি বোর্ড লাগাতে হবে। একসঙ্গে মণ্ডপে থাকতে পারবেন ১০ জন।

 

তবে হাইকোর্ট হতে আরও জানানো হয়েছে যে ৩০০ বর্গমিটারের বড় মণ্ডপ গুলির সিদ্ধান্ত নেবে পুলিশ। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ হতে এইদিন বলা হয়, “দুর্গাপুজোতে পুলিশের কাজ খুবই সুন্দর ছিল। পুলিশের প্রশংসা করে তারা আরও বলেন, আদালতের আস্থা রয়েছে তাদের ওপর। আস্থা রয়েছে যে তারা ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। সেই কারণেই বড় মণ্ডপের ক্ষেত্রে সমস্ত সিদ্ধান্ত নেবে পুলিশ। তারা ঠিক করবেন যে বড় মণ্ডপের ক্ষেত্রে কত মিটার দূরে লাগানো হবে নো এন্ট্রি বোর্ড। তারাই ঠিক করবেন যে কতজন মণ্ডপে প্রবেশ করবে সেই ব্যাপারটি।

 

এইদিন একইসঙ্গে কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বর, তারাপীঠের মত বহু জনসমাগমযুক্ত মন্দিরগুলির বিষয়েও নির্দেশ দেয় আদালত। সেখানে ভিড় নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও কড়া নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এই করোনা পরিস্থিতিতে কোভিড বিধি মেনে ওই মন্দিরগুলিতে কিভাবে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করা যায়, মন্দিরে প্রবেশ হার কি করে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তার সবটাই থিক করবে পুলিশ। আজ এমনটাই জানান বিচারপতি।

 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বণ। কালীপুজোর পরেই রয়েছে জগদ্ধাত্রী পুজো, কার্তিক পুজো। এই দুই পুজোর ক্ষেত্রেও একই নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য আদালত। সেই সিদ্ধান্তেই অনড় থাকতে চান তারা। এমনটাই জানা গিয়েছে আদালত সূত্রের খবর হতে।

Related Articles

Back to top button