বাংলাকে টার্গেট করে পশ্চিমবঙ্গে দু’দিনের সফরে এসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গতকাল বাঁকুড়াতে আদিবাসী গ্রামে সফরের পরে আজও ছিল তার ঢালাও কর্মসূচি। প্রথমে তিনি গেলেন দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পূজা দিতে। তার সঙ্গী হয়েছিলেন মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, বাবুল সুপ্রিয়, অনুপম হাজরা সহ আরো অনেকে। নিরাপত্তার স্বার্থে আপাতত দক্ষিণেশ্বরের মন্দির দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিন অমিত শাহ পৌঁছাতেই তাকে স্বাগত জানানোর জন্য প্রস্তুত ছিলেন অগ্নিমিত্রা পল সহ বিজেপি মহিলা মোর্চা অনেকেই। নিউটাউনের হোটেল থেকে সোজা তিনি পৌঁছেছেন দক্ষিণেশ্বরে। পূজা দেওয়ার পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কিছু বার্তালাপ করেন অমিত। তিনি বলেন,” বাংলা ভক্তি এবং আন্দোলনের পীঠস্থান। বাংলা যাতে সেই হারানো গৌরব ফিরে পায় সেই প্রার্থনাই তিনি মা ভবতারিণীর কাছে জানিয়েছেন। মা কালীর কাছে গোটা দেশ তথা বাংলার মঙ্গল কামনা করেছি। মোদি নেতৃত্বে দেশ যাতে এক নম্বরে পৌঁছয় সেই কামনা করি।” পাশাপাশি রাজ্যের শাসক দলকে কটাক্ষ করে তাকে কথা বলতে শোনা যায়। শাসক দল তৃণমূল কে নিশানা করে অমিত বলেন,” তৃণমূল এখানে তোষণের রাজনীতি করছে।”
দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের সমস্ত কর্মসূচি শেষ করার পরেই অমিত শাহ সোজা চলে গেলেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর বাড়িতে। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান অর্জুন সিং এবং সব্যসাচী দত্ত। তবে অমিত শাহ এখানে কেন আসছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী বলেন, ” আমি রাজনীতির মানুষ নই। আমি সঙ্গীত জগতের মানুষ। এখানে কোন রাজনৈতিক যোগ নেই। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম ও এখানে এসেছেন। আর ব্যবস্থা বলতে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা রয়েছে। উনি করতে চাইলে করতে পারেন।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসার পরে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। উল্লেখ্য, এই বৈঠকের ব্যবস্থা করেছিলেন মুকুল রায় এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এই কারণে সাত সকালে তারা পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর বাড়িতে গিয়ে পৌঁছান। অজয় চক্রবর্তীর সাথে কি বিষয় নিয়ে অমিত শাহ কথা বলেছেন তা এখনো কেউ সামনে আনেননি। কিছু রাজনৈতিক মহলের অনুমান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুধুমাত্র সৌজন্য সাক্ষাতকার করতে এখানে হয়তো আসেননি। তাদের মধ্যে নিশ্চয়ই রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে ও কথা হয়েছে।