কলকাতা: করোনা পরিস্থিতির পর দীর্ঘ লকডাউনের জেরে অগ্নিমূল্য বাজারদর। আলু-পেঁয়াজে হাত দিলে ছেঁকা লাগছে আমজনতার। একদিকে অতিমারি অন্যদিকে উৎসবের মরশুম। সব মিলিয়ে ব্যবসায় মুনাফা লাভ করতে আকাশছোঁয়া দাম নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের। তবে এবার আলু-পেঁয়াজ দামে লাগাম টানতে নবান্নের কড়া নির্দেশিকার পরই কলকাতার বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালাল কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ।
বাঙালির পাতে আর কিছু না থাকুক, রোজনামচার খাবারের তালিকায় আলু এবং পেঁয়াজ ধাকা মাস্ট। সেখানে আলু-পেঁয়াজের দাম যেভাবে আকাশছোঁয়া হয়ে উঠছে, তাতে নাভিশ্বাস উঠছে বাঙালির। জ্যোতি আলু কয়েকদিন আগেও কিলো প্রতি দাম ছিল ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা। যা বর্তমানে বাড়তে বাড়তে দাঁড়িয়েছে ৪০ টাকায়। যদি আপনি চন্দ্রমুখী আলু খেতে চান, তাহলে আপনাকে তার জন্য ৪৫ থেকে ৫০ টাকা খরচ করতেই হবে। অন্যদিকে, কিলো প্রতি পেঁয়াজের দাম যাচ্ছে কোথাও ৭০ টাকা, আবার কোথাও ৮০ টাকা। যা অবস্থা তাতে আর কিছুদিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম যদি ১০০ টাকা কিংবা, তার বেশি হয়ে যায়, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
আর এই আকাশছোঁয়া দামেই লাগাম টানতে আজ, শনিবার, ইবি শহরের মানিকতলা, বৈঠকখানা, কোলে মার্কেটে অভিযান চালায়। গত শুক্রবারও অভিযান চালিয়েছে ইবি।ব্যবসায়ীদের বলা হয়, যারা হোল সেলার ডিলার রয়েছে তারা ২৫ মেট্রিক টনের বেশি আলু-পেঁয়াজ রাখতে পারবে না। যারা পাইকারি হারে আলু-পেঁয়াজ বিক্রি করে তারা ২ মেট্রিক টনের বেশি মজুত রাখতে পারবে না। এমনকি কত আলু ও পেঁয়াজ রাখছে তার চালান রখতে হবে। কিন্তু ইবির আধিকারিকরা বাজার ঘুরে দেখে কারর কাছে যথাযথ সঠিক চালানই নেই।
শুধু তাই নয়, অভিযান চালিয়ে ইবির আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, আলু কমদামে বিক্রি করতে হবে। কিন্তু সেদিকে কর্ণপাত করতে নারাজ ব্যবসায়ীরা।তাদের বক্তব্য, আলুর দাম সঙ্গে যোগ করতে হয় গাড়ি ভাড়া, বাজার ভাড়া, বাদবাকি বিক্রির আনুষাঙ্গিক খরচ। তাই দাম কমানো সম্ভব নয়। কিন্তু ব্যবসায়ীদের কথাকে ভ্রুক্ষেপ না করে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে ইবি আধিকারিকরা সকলের উদ্দেশ্যে সতর্ক করে বলে দিয়ে গিয়েছেন যে, আলুর দাম না কমালে, আইনত পদক্ষেপ নিতে হবে। এখন দেখার বিষয় এটাই যে, শহরের বাজারে বাজারে ইবির অভিযান চালানোর পরেও আলু-পেঁয়াজের দাম অপরিবর্তিত থাকে নাকি পরিবর্তন ঘটে?