দীর্ঘ আট-নয় মাসের লকডাউন আমাদের অনেক কিছু শিখিয়েছে। পরিবারের বহু প্রিয় মানুষ তাঁদের মৃত্যুকে খুব কাছে থেকে দেখতে পেয়েছে যেমন তেমনই বহু মানুষ নতুন প্রাণের স্বাদ পেয়েছেন। মনে সংশয়, ভয়, উত্তেজনা, আশঙ্কা নিয়েও মানুষ প্রেম করে গেছে জমিয়ে। এই বছর যাদের যা গেছে তা গেছে। কালের নিয়মে সবই একদিন চলে যায়। তাই এই যাওয়ার থেকেও বড় ব্যপার হল, ফিরে আসা অথবা নতুন কিছু হওয়া। হ্যাঁ, জীবন্ত হয়েছে ‘লকডাউন প্রেম’।
এই বছর অনেক ভাঙ্গা সম্পর্ক জোড়া লেগেছে, সম্পর্কে বন্ধুত্ব জমে উঠেছে, সহনশীলতা বেড়েছে, ফিরেছে উষ্ণতাও যা প্রতিদিনের কাজের চাপে ফিকে হয়ে যায়। হ্যাঁ, সমীক্ষার ভিত্তিতে কিছু বিজ্ঞানীরা বলছেন যে লকডাউনে বেড়েছে পারিবারিক ঘনিষ্ঠতা। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মোট ৪৭.৪% ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী অথবা জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিসাধন ঘটেছে। আবার ৪৭.৩% ক্ষেত্রে পিতা-মাতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে সন্তানদের।
জাতিসংঘের সর্বশেষ তথ্যের ওয়ার্ল্ডোমিটার বিস্তারের (Worldometer elaboration of the latest United Nations data) উপর ভিত্তি করে সোমবার, নভেম্বর ৯, ২০২০ পর্যন্ত ভারতের বর্তমান জনসংখ্যা ১,৩৮৪,৮২৬,৭৮৫। গত বছর ২০১৯ এ এই সংখ্যা ছিল ১,৩৬৬,৪১৭,৭৫৪। এই বছর উর্বরতার হার ২.২৪, গত বছর ছিল ২.৩৬। সুতরাং বুঝতেই পারছেন করোনা বা কোভিড ১৯ কোনোভাবেই জন্মের উর্বরতার হ্রাস ঘটাতে পারেনি।
শুধু যে মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক উন্নতি হয়েছে তা নয়, ঈশ্বরের সঙ্গে মানুষের এক বিশ্বাসের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। যারা নাস্তিক বলে নিজেদের পরিচয় দেন তাঁরাও মৃত্যুকে একবারের জন্যে হলেও ভয় পেয়েছেন। এছাড়াও মানুষ অনেক কর্মঠ হয়ে উঠেছে, কোন কাজই যে ছোট নয় তা এইবার মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন।