ফেস্টিভ সিজন বর্তমানে চলছে। এবং এই সময়ে জিনিসপত্রের দাম কিছুটা হলেও ঊর্ধ্বমুখী থাকে। কিন্তু এবারে আলু পেঁয়াজ জাতীয় অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম একেবারে আকাশছোঁয়া হয়ে গিয়েছে। এই সমস্ত জিনিসের দাম এতটা বেশি বেড়ে গিয়েছে যে মধ্যবিত্তের এইসব জিনিস কিনতে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। এই কারণে এসব জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণে আনার আর্জি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকা থেকে আলু এবং পেঁয়াজ বাদ চলে গিয়েছে। এরপরে সেই সুযোগ গ্রহণ করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। তারা, আলু এবং পেঁয়াজের বেআইনি মজুদদারি শুরু করেছে। এর ফলে বর্তমানে প্রচন্ড দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এই মর্মে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যত শীঘ্র সম্ভব আলু পেঁয়াজের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামের নির্ধারণ রাজ্যের হাতে সমর্পন করা হোক।
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা ৪ পাতার চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, মজুদদারী নিয়ন্ত্রণের জন্য এবং যোগান বাড়িয়ে দাম হ্রাস করার জন্য কেন্দ্রকে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। সাধারণ মানুষ এই মূল্যবৃদ্ধির কারণে অত্যন্ত সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, কৃষি সামগ্রির উৎপাদন, সরবরাহ, বন্টন এবং বিক্রয়ের উপর যেন রাজ্যগুলির ক্ষমতা পুনর্বহাল করা হয়।
কৃষি সামগ্রী উৎপাদন, সরবরাহ, বন্টন এবং বিক্রয় নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে রাজ্যগুলিকে অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ মমতার। বর্তমানে, রাজ্য সরকার এই সমস্ত জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। এর ফলে এইগুলির দাম প্রায় লাগামছাড়া হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই কালোবাজারি শুরু করেছেন এ সমস্ত জিনিস নিয়ে। এই নিয়ে রাজ্য সরকার নীরব দর্শক হয়ে থাকতে পারে না। রাজ্য সরকারের হাতে এই ক্ষমতা এলে, তারা এই সমস্ত জিনিসের উপযুক্ত দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।