দেশনিউজ

আজ বিহারে ভোটের ফল ঘোষণা, চলছে ভোট গণনা, প্রত্যাবর্তন নাকি ঘটবে পরিবর্তন?

Advertisement

পাটনা: করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জোরকদমে প্রচার করতে দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। আর আজ, মঙ্গলবার সেই বিহারে ভোটের ফল ঘোষণা। তাই উত্তেজনার পারদ চরোম উঠেছে। কে বসবে মুখ্যমন্ত্রীর মসনদে? তেজস্বী যাদব এবং তার দল সরকার গঠন করে বিহারে পরিবর্তন আনবে? নাকি নীতীশ কুমারের সরকারের প্রত্যাবর্তন ঘটবে? এই প্রশ্নে কার্যত সরগরম বিহারের রাজনীতি। সকাল আটটা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গণনা।

সাধারণত ভোট গণনার জন্য ৩৬টি কেন্দ্র খোলা হয়ে থাকে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে যাতে সব কাজ সুষ্ঠুভাবে হয় তার জন্য ৫৫টি ভোট গণনা কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে গণনা চলবে মোট ৪১৪টি হলে ভোট গণনা হবে বলে জানা গিয়েছে। ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার কথা মাথায় রেখে বিহারে মোট ৫৯টি কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন করা হয়েছে। স্ট্রংরুম পাহারা দেওয়ার জন্য ১৯টি কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

তবে একমাস আগে বিহার চিত্রটা অনেকটাই আলাদা ছিল। নীতীশ কুমারের সময়কালে বিহারে উন্নতির জোয়ার এসেছে। এমন কথা সগর্বে স্বীকার করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। কিন্তু একা হাতে সেই সুনামকে কার্যত নিজের দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছেন লালুপ্রসাদ যাদব পুত্র তেজস্বী যাদব। রাজ্যে বেকারত্ব, পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতি নিতিশ কুমার সরকারের দায়িত্বজ্ঞানহীনতাকে কার্যত চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলেন তেজস্বী। যার ফলে বিহারের বর্তমান যুবসমাজের গলায় পরিবর্তনের সুর স্পষ্ট। এমনকি বুথ ফেরত সমীক্ষাও এগিয়ে রেখেছে লালু-পুত্রকে।

বিহারের রাজনীতির দিকে তাকালে দেখা যাবে লালুপ্রসাদ যাদব এবং তার স্ত্রী রাবড়ি দেবী দীর্ঘ ১৫ বছর বিহারে শাসন চালিয়েছেন। তবে ১৫ বছরের পর নীতীশ কুমারের হাত ধরে বিহারে এসেছিল পরিবর্তন। আর এই বছর নীতীশ কুমার সরকারের ১৫ বছর পূর্ণ হতে চলেছে। তাহলে কি এ বছরও বিহারে পরিবর্তনের সরকার আসতে চলেছে? যদিও এর উত্তর আজ পাওয়া যাবে।

Related Articles

Back to top button