মুসলিম ভোট কেটেছে বিজেপি। আসাউদ্দিন ওয়াইসির দল এআইএমআইএম কে ব্যবহার করেছে এই কাজের জন্য। মহাজোটের হার দেখে আজ এমনটাই বলতে দেখা গেল কংগ্রেস নেতা অধির চৌধুরীকে একইসঙ্গে এই ভোট থেকে তার মনে আশার সঞ্চার ঘটেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তার মতে এই যে তারা বিজেপি কে কড়া টক্কর দিতে সক্ষম হয়েছেন, তার মধ্যেই লুকিয়ে আছে লোকসভা ভোটের আশা। এইদিন অধীরবাবু বলেন,”বিহারে যখন ভোট পর্ব শুরু হল, তখন মহাজোট ধর্তব্যের মধ্যেও ছিলনা। নির্বাচনে জয়লাভ করা টা বিজেপি বা জেডিএউ এর কাছে ততটাই সোজা ছিল যতটা কেকের ওপর ছুরি চালানো। তারা তো আগেই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন যে দুই তৃতীয়াংশ ভোটে জিতবেন তারা। তারপর আমরা দেখালাম টক্কর কাকে বলে।”
অন্যদিকে তেজস্বী যাদবের প্রশংসায় তিনি বলেন,”তেজস্বী যাদবকে রাজনীতিতে নতুন মুখ বলা চলে। সেই তিনিই জেডিএউ-বিজেপির পোড়খাওয়া নেতাদের নাজেহাল করে দিলেন। একটা ৩১ বছরের ছেলের নেতৃত্বে বিহার ভোট হল। সেখানে তাকে আটকাতে ছুটে আসতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকেও। ১০-১২ বার তিনি এসেছেন বিহারে। এছাড়াও সব মন্ত্রী নেমেছিলেন প্রচারে।”
অন্যদিকে বিজেপির বিরুদ্ধে এলজেপি এবং এআইএমআইএম ব্যবহারে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। এইদিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন,” জেডিইউ কে চাপে ফেলতে বিজেপি ব্যবহার করেছে পাসওয়ানের দলকে। এছাড়া তারা কাজে লাগিয়েছেন ওয়াইসির দলকেও। এই দলকে কাজে লাগিয়েই মুসলিম ভোট কেটেছেন তারা। যদি ওয়াইসি-কে বিজেপি ব্যবহার না করত তবে মুসলিম ভোট এভাবে ভাগ হতো না। যার ফলে অনেকটাই সুবিধা হত আরজেডি এবং কংগ্রেসের। যাই হোক, হয়তো ছলের দ্বারা তারা জয়লাভ করলেন ঠিকই। কিন্তু আমি বলতে পারি, এটা ভবিষ্যতে বিজেপির জন্য বিপদ বয়ে আনবে। আমরা একটা নতুন প্রজন্মের যুবককে দেখলাম আজ।” এইদিন তিনি আরও বলেন,”এআইএমআইএম ৪টি এবং এলজেপি ১ টি আসনে এগিয়ে। সেখানেই এআইএমআইএম পেয়েছে ১.১৬ শতাংশ ভোট এবং এলজেপি ৫.৭৪% ভোট। তাই বলা চলে যে, আসন না পেলেও ভোটের দিকে অনেকটাই এগিয়ে এসেছেন তারা।”