কেটে গিয়েছে প্রায় তিন বছর। মাঝে একবার ও খোলা হয়নি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার কার্যালয়। প্রায় ৩ বছর পর আবার দার্জিলিং এর পাতলেবাসে খুলল জিজেএম এর কার্যালয়। এলাকাটি পরিচিত মোর্চা নেতা বিমল গুরুং এর খাসতালুক হিসেবে। তিন বছর আগের সেই অশান্তিতে কোণঠাসা হয়ে গিয়েছিলেন বিমল -রোশনের মতো নেতারা। বহু পুলিশের মৃত্যুমামলায় জড়িয়ে গিয়েছিল বিমলের নাম। তারপর থেকেই বন্ধ এই কার্যালয়। দীর্ঘদিন পরে আবার ফিরে আসতে দেখা যাচ্ছে বিমলকে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীকে পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি। এছাড়া বিজেপি কে হুঁশিয়ারি দিতেও দেখা গেছে তাকে।
এমন অবস্থাতে বিমলের কার্যালয় নতুন করে খুলে যাওয়াকে অনেকটাই যুক্তিপূর্ণ মনে করা হচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। অনেকের মতে এটি বিমলের আত্মপ্রকাশের একটি চিহ্ন। তারা মনে করেন যে এই আত্মপ্রকাশ পালটে দেবে পাহাড়ের সমীকরণ। অন্যদিকে বিনয় এবং তার অনুগামীরা পাহাড়ে বিমলের এই ফিরে আসাকে মেনে নিতে পারছেন না বলে সূত্রের খবর। ‘কে বিমল? এখন এখানে সে কি করছে? ৩ বছর আগে যখন পাহাড় জ্বলছিল তখন কোথায় ছিলেন এই বিমল ?’ বলেও কটাক্ষ করতে দেখা গেছে বিনয় অনুগামীদের। পাহাড়ে চলছে দুই পক্ষের মাঝে ক্ষমতা লড়াই।
সম্প্রতি বিমল দাবি করেছেন যে, দার্জিলিং পুরসভার ১৭জন কাউন্সিলার বিজেপি ছেড়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাতে যোগ দিয়েছেন। তার মতে একে একে যোগ দেবেন আরও অনেকে। অর্থাৎ বলা চলে যে , দের পাহাড়ে নিজের মাটি শক্ত করছে বিমল-রোশন। আজ দলীয় কার্যালয় আবার খুললে অনেকটাই শান্তির নিঃশ্বাস ফেলেন বিমল তথা জিজেএম অনুগামীরা। সরকারি নির্দেশিকা নিয়েই তারা কার্যালয় খুলেছেন বলেও জানানো হয়েছে জিজেএম এর সদস্যদের পক্ষ থেকে।