বাংলা রাজনীতিতে শুভেন্দু ইস্যু নিয়ে চলছে চরম বিতর্ক। মমতা শুভেন্দু সম্পর্কে তোলপাড় বাংলা রাজনীতি। নাম না উল্লেখ করে পরস্পর পরস্পরকে বাক্যবাণে বিদ্ধ করতে ব্যস্ত। বৃহস্পতিবার ঘাটালে বিদ্যাসাগর স্কুলের মাঠে ফের শুভেন্দুকে নাম না উল্লেখ করে জননেত্রীকে আক্রমণ করতে দেখা গেল। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু নেতার বিদ্রূপের উত্তরে আক্রমণাত্মক হয়ে বলেছেন, “আমরা এগোবো, অন্যরা দেখবে আর কাঁদবে। দেখবি আর জ্বলবি, লুচির মত ফুলবি।”
অবশ্য আগের দিনে ঘাটালের সভাতে শুভেন্দুকে “নেত্রী” কথাটি ব্যবহার করতে শোনা গেছে। তিনি বলেছেন, “আমি পুরনো দিনের কোন কথা ভুলে যাইনি। যেদিন আমাদের নেত্রীর নেতৃত্বে আমরা দ্বিতীয়বার ঘাটালের স্বাধীনতার লড়াই লড়ে ছিলাম সেইদিন কোনদিন ভোলার নয়। আমাদের এক প্রার্থীর হাত ভেঙে গিয়েছিল। সে নার্সিংহোমে যন্ত্রণায় ছটফট করছিল। তাকে কোঠারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছিল। অবশ্যই সেই প্রার্থী পরে হাতে প্লাস্টার নিয়োগ প্রচার করেছে।”
শুভেন্দু উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে জানিয়েছে যে সে আগেও জনতার পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র। জনতার উদ্দেশ্যে তিনি প্রশ্ন ছুঁড়ে বলেছেন, “গ্রামের ছেলের ওপর ভরসা আছে তো?” এছাড়াও তিনি জনতাদের উৎসাহ দিয়ে বলেছেন, *আমরা এগোবো অন্যরা দেখে কাঁদবে। ব্যাপারটা অনেকটা যেমন লরির পিছনে লেখা থাকে, দেখবি আর জ্বলবি, লুচির মত ফুলবি।” এছাড়াও তিনি উপস্থিত জনতাকে মনে করিয়ে দিয়েছেন যে তারা বিদ্যাসাগরের জন্মস্থানে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের বাড়িতে মোটা কাপড় ও মোটা ভাত থাকলেও, তাদের পেটে শিক্ষা আছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার নবান্নের মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি উপস্থিত ছিলেন না। কিন্তু সন্ধ্যেবেলায় বাগুইহাটি এর এক কালীপুজো উদ্বোধনে এসেছিলেন। অন্যদিকে তৃণমূলের সংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দুর না উল্লেখ করে তাকে খোঁচা দিয়ে বলেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে পুরসভার কাছে আলু বিক্রি করতিস”। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছে নন্দীগ্রামে আন্দোলন শুরু হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বেই। তিনি আরো বলেছেন,” এখন সে যতই বড় হয়ে যাক কার ছায়াতে বড় হয়েছে সেটা মনে রাখা উচিত। বেইমানদের তৃণমূল কংগ্রেসে জায়গা নেই।”