বৃহস্পতিবার তথা গতকাল বিধানসভার স্পিকারের হাতে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে এসেছিলেন হরিপালের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বেচারাম মান্না। এর সাথে শুক্রবার তার অনুগামী এবং ঘনিষ্ঠ নেতারাও গণ-পদত্যাগ করবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু এক সাক্ষাতে বদলে গেল সমস্ত সমীকরণ। আজ রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির সাথে সাক্ষাতের পর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেন বিধায়ক।
সূত্রের খবর, রাজ্য সভাপতির একপ্রকার আদেশে পদত্যাগের অবস্থান থেকে সরিয়ে দাঁড়িয়েছেন বেচারাম। একদিন শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনা, অন্যদিকে বেচারামের এমন হঠাৎ পদত্যাগে অনেকটাই অস্বস্থিতে পরেছিল শাসক দল। সঙ্গে সঙ্গে বেচারামকে ডেকে পাঠানো হয় তৃণমূল ভবনে। সেখানেই তার সাথে বৈঠক করেন তৃণমূল রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। ১ ঘণ্টার ও বেশিক্ষণ চলে সেই বৈঠক। তারপরই নিজের পদত্যাগ প্রত্যাহারের কথা ভাবেন সাংসদ।
বেচারামের পদত্যাগ প্রত্যাহারের পর অনেকটা শান্তি ফিরেছে জোড়াফুল শিবিরে। হুগলী জেলার তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য এর সাথে বেচারামের বিবাদ আজকের নয়। সম্প্রতি ব্লক সভাপতিত্বকে ঘিরে সেই বিবাদ পৌঁছায় চরমে। প্রকাশ্যে মুখ খুলে দল ছাড়ার কথা ভাববেন বলে জানান রবীন্দ্রনাথ।
তৃণমূল সূত্র হতে জানা গিয়েছে যে, এই সমস্যা মেটাতে বুধবার বেচারামকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোবিন্দ ধাড়াকে সরিয়ে মহাদেব দাসকে ব্লক সভাপতি করতে বলেন মমতা ব্যানার্জি। এছাড়াও হুঙ্কার দিয়ে দলনেত্রী বলেন যে এরম ভাবে চলতে থাকলে বেচারামকে আর হারিপালের টিকিট দেবেনা দল। এর পরই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত দেয় বেচারাম বলে সূত্রের খবর।
অন্যদিকে বেচারামকে শান্ত করতে তার বাড়িতে হাজির হন জেলা তৃণমূল মুখপত্র প্রবীর ঘোষাল। সেখানে তার মন রাখতে প্রশস্তি গেয়ে শোনান প্রবীরবাবু। এর সাথেই তিনি সাংসদ কে বোঝান যে দল তার অবদান কখনও ভুলতে পারবেনা। এছাড়া এইদিন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে নিয়ে ও কথা বলতে দেখা যায় জেলা তৃণমূল মুখপত্রকে। তার বক্তব্য,”রবীন্দ্রনাথ বাবুর বয়েস হয়েছে। আন্দোলনে উনি থাকলেও, নেতৃত্ব কিন্তু দিয়েছিলেন বেচারাম।”অপরদিকে রবীন্দ্রনাথবাবু জানিয়েছেন যে তিনি খুব শীঘ্রই শীর্ষ নেতৃত্বদের সাথে কথা বলবেন এবং তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।