বাংলায় লকডাউন পরবর্তী আনলক প্রক্রিয়া চালু হওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই মেট্রো পরিষেবা চালু হয়েছিল। প্রথমে মেট্রো সংখ্যা কম হলেও লোকাল ট্রেন চালুর পাস্তে প্রস্তাব আসতেই ভিড় সামলাতে মেট্রোর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছিল। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ১৯০ টি করে মেট্রো পরিষেবা দিত।
কিন্তু আগামী ১৪ ই নভেম্বর ও ১৬ ই নভেম্বর অর্থাৎ কালীপুজো ও ভাইফোঁটার দিন অন্যদিনের চেয়ে কম মেট্রো চালানোর ঘোষণা করেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। অন্যদিন যে জায়গায় গড়ে ১৯০ টি করে মেট্রো চলে সেই জায়গায় কালীপুজো ও ভাইফোঁটার দিন সকাল ৮ টা থেকে ১০ টা অব্দি ১৫২ টি মেট্রো চলবে। ওই দুই দিন কবি সুভাষ ও দমদম স্টেশন থেকে সকাল ৮ টায় প্রথম মেট্রো ছাড়বে। অন্যদিকে দমদম ও নোয়াপাড়া স্টেশন থেকে লাস্ট ট্রেন পাওয়া রাত্রি ৯ টায়। নোয়াপাড়া থেকে সকাল ৮:০৫ এ প্রথম মেট্রো ছাড়বে ও নোয়াপাড়া থেকে রাত্রি ৮:৫৫ এ শেষ মেট্রো চলবে।
মেট্রো কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কালীপূজা ও ভাইফোটার দুইদিন বেশিরভাগ সরকারি ও বেসরকারি অফিস ছুটি থাকে। এর ফলে মেট্রোতে অফিস যাত্রীর ভিড় অনেক কম থাকবে। ভিড় কম থাকায় এই করোনা পরিস্থিতিতে বেশি মেট্রো চালানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই বলেই সেদিনে অন্যদিনের তুলনায় কম অর্থাৎ ১৫২ টি মেট্রো চলবে।
নিউ নরমালে মেট্রো পরিষেবা চালু হলেও, করোনা সংক্রমণকে এড়াতে একাধিক বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এখন শুধুমাত্র স্মার্ট কার্ড থাকলেই মেট্রো চড়া যাবে এমন ব্যাপার না। ই পাস এর মাধ্যমে স্লট বুক করে মেট্রোতে চড়ে যাচ্ছে। যদিও প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য না। তারা স্মার্ট কার্ড দেখিয়ে মেট্রো চড়তে পারবে। মেট্রো স্টেশনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে নাকি বা কোভিড প্রটোকল মানা হচ্ছে নাকি তা নজরে রাখছে রেল পুলিশ ও আরপিএফ।