তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী কে নিয়ে বর্তমানে রাজ্য রাজনীতি সরগরম। রাজনৈতিক পারদ এতটাই উপরের দিকে, যে তার বাড়িতে গিয়ে হাজির হয়েছিলেন তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। তার বাবার শিশির অধিকারীর সঙ্গে ঘন্টাদুয়েক কথাও বলেছিলেন তিনি। কিন্তু তার পরেও চিঁড়ে ভিজলো না শুভেন্দু এবং তৃণমূলের সম্পর্কে। এদিন প্রশান্ত কিশোরের হাজির হবার পরেই রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী আবারো তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন। শুক্রবারে নন্দীগ্রামে নাম না করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তিনি আবারো একটি কড়া বক্তৃতা দিলেন।
অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সেই বক্তৃতায় কিছু কথা তিনি উল্লেখ করেন। এদিন নন্দীগ্রামে কালী পুজো উদ্বোধন করতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ” সব উৎসবে থাকি, সব অনুষ্ঠানে থাকি। বোম গুলির আওয়াজ হলেও ছুটে চলে আসি। চোখের জল মুছাতে আসি। আম্ফান এর পর নন্দীগ্রামে কে এসেছিল? কেউ আসেনি। আমি প্রায় এক মাস ধরে কারেন্ট কিভাবে আসবে তার ব্যবস্থা করেছিলাম।”
তিনি আরো জানিয়েছেন, “নিজের কথা নিজে বলা ঠিক নয়। নিজে যারে বড় বলে সে বড় নয়। লোকে যারে বড় বলে সেই বড় সেই হয়।” এই প্রবাদ বাক্য শোনানোর মাধ্যমে শুভেন্দু তৃণমূলকে বুঝিয়ে দিলেন, তিনি এখনো পর্যন্ত ক্ষান্ত হননি। তার সমর্থকদের প্রতি শুভেন্দু ডাক দিলেন, ” আমরা চরৈবতি চরৈবতি করে এগিয়ে যাব। কেউ আমাদের রুখতে পারবে না।”
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার শুভেন্দু অধিকারীর কাঁথির বাড়িতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। শুভেন্দু এবং তার ভাই দিব্যেন্দু বাড়িতে না থাকলেও তিনি কথা বলেন তাদের বাবা শিশির অধিকারীর সঙ্গে। প্রসঙ্গত, সরাসরি কথা না হলেও, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের ফোনে কথা হয়। তবে এই সমস্ত কথোপকথনের পরেও শুভেন্দুর কোনরকম ঝাঁজ কমলো না। তৃণমূল বিরোধী কথা শুভেন্দু এখনো বলেই চলেছেন। ফলে রাজনৈতিক মহলে এখনো এই সওয়াল ঘুরছে, শুভেন্দু কি তৃণমূল ছেড়ে দিতে চলেছেন?