শেষ কয়েকদিনে পশ্চিমবঙ্গে শীতের আমেজ তেমন একটা বাড়েনি। যদিও ভোরের দিকে হালকা ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। কিছু কিছু জায়গাতে কুয়াশা দেখা যাচ্ছে সকালের দিকে। কিন্তু বেলা বাড়লেই বাড়ছে রোদের তেজ। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, বিহার ও উত্তরপ্রদেশের তৈরি ঘূর্ণাবর্তের কারণে পশ্চিমবঙ্গে এখনো শীত জাঁকিয়ে পড়ছে না। কিন্তু একবার ঘূর্ণাবর্ত কেটে গেলে পশ্চিমী ঝঞ্জা ঢুকে পড়বে। আর তখনই হবে আবহাওয়ার পরিবর্তন।
ওড়িশা ও আন্দামান-নিকোবর বাদে কোথাও বৃষ্টি হয়নি। ওই দুই জায়গাতে হালকা বৃষ্টিপাত দেখা গিয়েছে। এছাড়া বাকি জায়গায় আবহাওয়া মোটামুটি শুকনো রয়েছে। বরঞ্চ পশ্চিমবঙ্গের কিছু কিছু জায়গায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি আছে। বিহারের উপরে দুর্বল ঘূর্ণাবর্তের কারণেই বঙ্গে শীত আসতে পারছে না বলে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রের খবর।
আজ পশ্চিমবঙ্গে কালীপুজো ও দুই দিন বাদে ভাইফোঁটা। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়ে দিল ভাইফোঁটার দিন কেমন থাকবে বঙ্গের আবহাওয়া। আগামী ৪৮ ঘন্টায় উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলাতেই আবহাওয়া থাকবে শুকনো। হালকা বা ভারী বৃষ্টিপাতের কোন সম্ভাবনা নেই। সেই সাথে জেলাগুলিতে তাপমাত্রা মোটামুটি একই থাকবে। বর্তমানে শিলিগুড়ি জেলার তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। অন্যদিকে দার্জিলিং ও কুচবিহারের তাপমাত্রা যথাক্রমে ৯.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং ১৩.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
একইভাবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। পরবর্তী ৪৮ ঘন্টায় বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই জেলাগুলিতে। বরং আবহাওয়া তে থাকবে অতিরিক্ত শুষ্কতা। রাতের তাপমাত্রা একটুখানি কম হলেও দিনে বেশ গরম থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। বর্তমানে কলকাতা শহরের তাপমাত্রা ১৯.৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। অন্যদিকে দীঘা ও ক্যানিং এর তাপমাত্রা যথাক্রমে ১৯.১ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং ২০.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস।