বাংলা বিধানসভা নির্বাচন ২০২১ প্রায় দোরগোড়ায়। এই নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। তারা তাদের সর্বশক্তি দিয়ে বিধানসভা ভোটে ঝাঁপিয়ে পড়তে চায়। প্রধানত ধরা হচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেস আর বিজেপির হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। সেইসাথে বাম এবং কংগ্রেস তাদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য নির্বাচনে নামবে। কিন্তু বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফলের পর রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চলছে যে কোনোভাবে বাম বিধানসভা নির্বাচনে ডিসাইডিং ফ্যাক্টর হয়ে উঠবে না তো?
বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জয় লাভের পেছনে বামেদের হাত আছে সেই নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। এবার বাংলায় বামেরা বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক হয়ে দাঁড়ালে তৃণমূলের ক্ষেত্রে লড়াইটা কঠিন হয়ে যাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এর আগের বছর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ২ আসন থেকে ১৮ আসনে লাফিয়ে উঠেছিল। অন্যদিকে একটাও আসন পাইনি বামেরা। অনেকেই মনে করেন লোকসভা ভোটে সিপিএমের পুরো ভোট গেছিল বিজেপির খাতায়। তাই এবছরের ভোটেও বামেরা বিজেপির সাথ দিলে তৃণমূলের হয়তো লড়াইটা কঠিন হতে পারে।
আবার পক্ষান্তরে বলা হচ্ছে সিপিএমের একাংশের ভোট যায় তৃণমূলের খাতায়। এর আগে ২০১১ থেকে সিপিএমের ভোটের একটা অংশ যেত তৃণমূলের কাছে। ১০ বছরের ইনকামবেন্সির ফলে সেই ভোট ফের বামেদের দিকে ফিরে যাচ্ছে না তো, তাহলে কিন্তু ক্ষতি তৃণমূলের। আবার বিপরীতমুখী চোরাস্রোতও রয়েছে। তৃণমূলও ভাঙছে, ভাঙছে বিজেপিও।
এছাড়াও বাম কংগ্রেস জোট করলে কি হতে পারে বিধানসভা নির্বাচনে সেই নিয়ে কোন সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না। বাম ও কংগ্রেস উভয়ই বলছে তারা পূর্ণশক্তি নিয়ে বিধানসভা নির্বাচনে যাচ্ছে। লকডাউন কালে পরিযায়ী শ্রমিক ও অন্যান্য বিভিন্ন কাজে সাধারণ মানুষের দোরে দোরে গিয়েছিল বামেরা। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বিধানসভা নির্বাচনে শেষপর্যন্ত কি তাহলে বামেরা বাজিমাত করে দেবে, সেটাই এখন প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে।