নিউজরাজ্য

অস্বস্তি বাড়িয়ে তৃণমূলে আরো একজন বিদ্রোহী বিধায়ক, জনসমক্ষে আক্রমণ পিকের উদ্দেশ্যে

Advertisement

২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের অস্বস্তি বৃদ্ধি করতে যুক্ত হল আরো এক বিদ্রোহী বিধায়কের নাম। এবার একসাথে প্রশান্ত কিশোরের কোম্পানি এবং জেলা সভাপতি কে বিধলেন হরিহর পাড়ার তৃণমূল বিধায়ক নিয়ামত শেখ। শেখ কটাক্ষ করেন, ” নিজের বুথে জিততে পারে না এরকম অনেকে তৃণমূলের নেতা হয়ে বসে আছে।” আর এই মন্তব্য ঘিরে পুনরায় অস্বস্তিতে শাসক দল।

রবিবার বহরমপুরে কাটাবাগান এলাকায় একটি সভা থেকে ভাষণ দিচ্ছিলেন নিয়ামত শেখ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি আবু তাহের। তাকে উদ্দেশ্য করেই নাম না করে কটাক্ষ করেন নিয়ামত। তার সঙ্গে দলের অস্বস্তি আরও বাড়াতে তিনি আক্রমণ শানান তৃণমূলের এবছরের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের দিকে।

তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারী ছাড়া মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল অভিভাবকহীন। শুভেন্দু অধিকারী কংগ্রেস এবং সিপিএম থেকে সমস্ত নেতাদের তৃণমূলে নিয়ে এসেছিলেন। তাহের সাহেব অব্দি শুভেন্দু অধিকারীর জন্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে এসেছিলেন। কিন্তু এরকম পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীকে এখন দলের ভিতরে কটাক্ষ করা হচ্ছে। দল কিভাবে চালাতে হয় তা শুভেন্দুবাবু খুব ভালো জানেন।

অন্যদিকে আবু তাহেরকে কটাক্ষ করে নিয়ামত সাহেব বলেন, “রাণীনগরে তৃণমূল নেতা খুন হওয়ার পরেও তার পরিবারের পাশে আপনি একবারও গেলেন না। প্রয়োজনের সময় আমাদের দলের কর্মীরা আমাদের নেতাকে পাশে পাচ্ছে না। এটা কোনোভাবেই ঠিক নয়। ” পাশাপাশি প্রশান্ত কিশোর কে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ” তিনি এই জেলার কাউকে চেনেন না। তিনি নাকি হচ্ছেন দলের কো-অর্ডিনেটর। নিজের বুথেই জিততে পারে না এমন নেতাদের মাথার উপরে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”

নিয়ামত শেখ এর মন্তব্যের পাল্টা হিসেবে আবু তাহের বলেন, ” দলের নেতারা তাদের কাজ করবেন। প্রশান্ত কিশোর তার কাজ করবেন। এখানে কোনো রকম বিরোধ নেই। রাণীনগরে তৃণমূল কর্মী অসামাজিক কাজ কর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তাই তার মৃত্যুতে আমি যাইনি।”

Related Articles

Back to top button