এবার থেকে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ট্রেনের সংখ্যা অনেকটা বেড়ে গেল। গত বুধবার অর্থাৎ ১১ নভেম্বর পুনরায় চালু করা হয়েছিল ট্রেন পরিষেবা। এতদিন অফিস টাইমে ৮১টি করে ট্রেন চলত। কিন্তু এবার থেকে আপনারা অফিস টাইমে পেয়ে যাবেন ৯৫টি ট্রেন। সকালবেলায় বিকেলবেলায় অফিস টাইমে এই পরিষেবা কাজ করবে।
গত বুধবার যখন ট্রেন পরিষেবা শুরু করা হল তখন দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো যে তারা অফিস টাইমে ৪০ জোড়া অর্থাৎ ৮১টি ট্রেন চালাবে। হাওড়া থেকে খড়গপুর, মেদিনীপুর, পাঁশকুড়া এবং আমতা রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। অন্যদিকে শালিমার, সাঁতরাগাছি এবং দীঘা থেকে ট্রেন চালানো শুরু হয়েছে। এই কারণে রেলের দক্ষিণ পূর্ব শাখা থেকে আরও বেশি সংখ্যায় ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, হাওড়া থেকে দিনের প্রথম ট্রেনটি ছাড়বে রাত ২ টো বেজে ৪০ মিনিটে। মেদিনীপুর পর্যন্ত এই ট্রেন চলাচল করবে।
অন্যদিকে, হাওড়া থেকে মেদিনীপুর যাওয়ার জন্য শেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ৮ টা ১৫ মিনিটে এবং খড়গপুর যাওয়ার জন্য শেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ৮টা ৪৮ মিনিটে। আবার, হাওড়া আসার জন্য খড়গপুর থেকে প্রথম ট্রেন ছাড়বে রাত ৩ টে র সময়ে। মেচেদা থেকে প্রথম ট্রেন ছাড়বে রাত ৪ টে ২০ মিনিটে এবং পাঁশকুড়া থেকে প্রথম ট্রেন ছাড়বে রাত ৩ টে ৫ মিনিটে। মেদিনীপুর থেকে হাওড়া রুটের শেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ৭ টা ১৫ মিনিটে এবং পাঁশকুড়া থেকে শেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ৮ টা ১৮ মিনিটে। প্রথমে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৩৪ টি ট্রেন চালানো হবে। তারপরে তারা যাত্রী সুবিধার কথা চিন্তা করে করনা ভাইরাসের প্রটোকল মেনে ৮১টি লোকাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জানা গিয়েছে, হাওড়া থেকে মেদিনীপুর পর্যন্ত চলবে ১৩ জোড়া অর্থাৎ ২৬টি লোকাল ট্রেন। হাওড়া থেকে খড়গপুর পর্যন্ত চলবে ৪ জোড়া অর্থাৎ ৮টি ট্রেন। অন্যদিকে, হাওড়া থেকে পাঁশকুড়া পর্যন্ত চলবে ৯ জোড়া অর্থাৎ ১৮টি ট্রেন এবং হাওড়া থেকে মেচেদা পর্যন্ত চলবে ৫ জোড়া অর্থাৎ ১০টি লোকাল ট্রেন। ইতিমধ্যেই এই সমস্ত স্টেশনে নতুন ট্রেনের টাইমিং নিয়ে সমস্ত প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।