রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী দেখিয়ে দিয়েছেন যে তার সমর্থনের ক্ষমতা কতটা। গত তিন মাসে দল থেকে অনেকটা দূরে চলে গিয়েছেন শুভেন্দু। সাথে তিনি এই তিনমাস চালিয়েছেন সমান্তরাল জনসংযোগ। শুভেন্দু দলের প্রধান না হলেও, প্রধান তৈরির ক্ষমতা রাখে বলে মনে করছেন বাকি দল। সেই জন্যই তাকে দলে টানতে ঝাঁপাচ্ছে সব দল। তিনমাস ধরে প্রায় প্রতিদিনই শিরোনামে দেখা যাচ্ছে শুভেন্দুকে। শাসক দলের সাথে একটু দূরত্ব তৈরির সাথে সাথেই আসতে শুরু করেছে ডাক। বিজেপি এবং কংগ্রেস উভয় দলই দরজা খুলে দিয়েছে শুভেন্দুর উদ্দেশ্যে। কেবল তাকে নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেনি বামেরা। এমন অবস্থাতে হাওয়ায় ভাসছে নতুন দল তৈরির জল্পনা ও।
শুভেন্দুকে ঘিরে যখন তৈরি হয়েছে সংশয়ের বাতাবরণ, এমন অবস্থায় দলনেত্রীর নির্দেশে দলের বৈঠক হয় শুভেন্দুর সাথে। কিছুদিন আগেই প্রশান্ত কিশোর গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে। তবে তাতে বিশেষ আমল দেননি শুভেন্দু। তবে সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে, এইবার গোপন বৈঠকে উপস্থিত হয়েছেন মন্ত্রী। শুভেন্দু অধিকারীর সাথে এইদিন গোপনে বৈঠক হয় একজন বর্ষীয়ান সাংসদের। আরও একজন সাংসদের বৈঠক হওয়ার কথা জানা গিয়েছে সূত্র হতে। তাদের ওপরই দল নির্দেশ দিয়েছে পরিবহণমন্ত্রীকে ধরে রাখার। এই বৈঠক অনেকটাই শান্তি এনে দিয়েছে শাসক শিবিরে।
বিশেষ সূত্র হতে জানা গিয়েছে যে, শুভেন্দু অধিকারী এইদিন ওই সাংসদের সাথে মুখোমুখি বৈঠকে তুলে ধরেছেন নিজের সমস্ত মনের কথা। তিনি বলেছেন, এতদিন মমতা ব্যানার্জি-সুব্রত বক্সিদের নেতৃত্বে কাজ করতে কোনও সমস্যা হয়নি তার। কিন্তু এখন এই প্রশান্ত কিশোর-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।
১৯ এ রামনগরে মেগা শো করবেন শুভেন্দু অধিকারী। সেইদিনই তিনি করবেন বিস্ফোরণ বলে আগেই জানিয়েছেন নেতা। তবে ইতিমধ্যে বিভিন্ন দলে যোগ দিতে আহ্বান করা হচ্ছে তাকে। একদিকে যেমন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়ের বিজেপি, অন্যদিকে তাকে ডাকছে অধীর চৌধুরীর কংগ্রেস ও। এমন সময় গোল বাঁচাতে মাঠে আবার দেখা যাচ্ছে শাসক শিবিরকে। তারাও নিজের নেতাকে ধরে রাখের জন্য নিতে শুরু করেছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। এখন দেখার বিষয় শুভেন্দু কি করেন। তিনি কি দলেই থাকবেন নাকি বিজেপির দিকে পাড়ি দেবেন, নাকি নিজের আলাদা দল গড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে ছুঁড়ে দেবেন কড়া চ্যালেঞ্জ।