নিউজরাজ্য

“মালদহ বিস্ফোরণকাণ্ডে হাত আছে জঙ্গিদের”, রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা করে মন্তব্য দিলিপের

Advertisement

আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মালদহ এক ভয়াবহ বিস্ফোরনের সাক্ষী হয়ে থাকল। আজ সকালে এগারোটা নাগাদ মালদহের সুজাপুরে এক প্লাস্টিক কারখানায় তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল গোটা এলাকা। এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ নিয়ে রাজ্য সরকারের ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি শাসক দলকে কটাক্ষ করে বলেছেন যে গোটা রাজ্যে অরাজকতা চলছে। জেলায় জেলায় বোম বন্দুকের কারখানা গজিয়ে উঠেছে। বিধানসভা ভোট পূর্ববর্তী সময়ে বাইরে থেকে রাজ্যে উগ্রপন্থী ও বিস্ফোরক আসছে। রাজ্য সরকারের হাতের বাইরে চলে গেছে রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ।

আজকের মালদহে প্লাস্টিক কারখানায় বিস্ফোরনকে সাধারণ দুর্ঘটনা বলে মানতে নারাজ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে এই বিস্ফোরণের নেপথ্যে আছে জঙ্গিযোগ। ভোটের আগে রাজ্যে চরম অরাজকতা চলছে। শাসকদল ভ্রুক্ষেপহীন হয়ে শাসন ব্যবস্থা চালাচ্ছে। বাইরে থেকে বিস্ফোরক আসছে জেলায় জেলায়। উগ্রপন্থীতে ভরে গেছে বাংলা। আর সেই সব দিক খেয়াল না দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির কর্মসূচি আটকানোর দিকে নজর দিচ্ছে। এছাড়াও তিনি মুর্শিদাবাদ থেকে জঙ্গি গ্রেফতারের প্রসঙ্গ টেনে রাজ্য প্রশাসনের মেরুদণ্ডহীন অবস্থার কথা বর্ণনা করেছেন।

এছাড়াও দিলীপ ঘোষ মালদহ বিস্ফোরণ কান্ডের NIA তদন্ত দাবি করেছেন। তিনি দৃঢ় কণ্ঠে দাবি করেছেন যে এত বড় বিস্ফোরণের পিছনে জঙ্গি কার্যকলাপ নিশ্চয় আছে। এদিন বর্ধমানে ছিলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বর্ধমান আদালতে পুলিশ গ্রেফতারের জামিন নিতে এসেছিলেন।

প্রসঙ্গত, আজ সকাল ১১ টা নাগাদ মালদহের ৩৪ নম্বর সড়কের ধারে সুজাপুরে একটি প্লাস্টিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। সেই বিস্ফোরণের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৪ জনের। এছাড়াও আরও ১ জন হাসপাতালে যাওয়ার পথেই মারা যান। আপাতত মালদহ মেডিক্যাল কলেজে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৫ জন ভর্তি আছেন। বিস্ফোরণের কথা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে তড়িঘড়ি পৌঁছান প্রাক্তনমন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী। এছাড়াও মমতা বন্দোপাধ্যায় ঘটনার খবর পেলে পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে তড়িঘড়ি হেলিকপ্টারে করে মালদহে ঘটনাস্থল দর্শনে পাঠান তিনি। এরপর বৈঠক করে বিস্ফোরণে নিহতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছে মুখ্যমন্ত্রী।

Related Articles

Back to top button