উত্তরপ্রদেশে প্রায় রোজ একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনা সামনে আসছে। আর সেই নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ করে, উত্তরপ্রদেশের হাথরস এর ঘটনা নিয়ে উত্তরপ্রদেশের সরকার এবং সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই ঘটনার জন্য তিনি সরাসরি কাঠগড়ায় তুলেছিলেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি চালিত সরকারকে। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, বাংলায় প্রচারে নেমে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এক হাত নিয়ে মন্তব্য করে, বাংলার মেয়েরা সুরক্ষিত নয়।
বিজেপির সেই মন্তব্যের পাল্টা উত্তর দিতে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে মাঠে নামলেন রাজ্যের মহিলা এবং শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি এবারে তুলে ধরলেন পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের জন্য করা সমস্ত প্রকল্পের বিশ্লেষিত খতিয়ান। গত ২০১১ সাল থেকে তৃণমূল আমলে বাংলার মেয়েদের জন্য কি কি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, তার সম্পূর্ণ তালিকা তুলে ধরলেন এদিন শশী পাঁজা। একটি সাংবাদিক সম্মেলনে শশী পাঁজা বললেন,”মমতা বাংলার প্রথম রাজনৈতিক, যিনি মহিলাদের ক্ষমতায়ন নিয়ে সরব হয়েছেন। মহিলাদের জন্য বাংলাতে যেসব প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, তার জন্যে শুধু একটা সাংবাদিক সম্মেলন যথেষ্ট না”।
মন্ত্রী শশী পাঁজা আরো বললেন, গত বছর পরিবারের সব থেকে বয়স জ্যেষ্ঠ মহিলার নামে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড চালু করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। এছাড়াও মেয়েদের বিয়েতে সাহায্যের জন্য রূপশ্রী প্রকল্প আনা হয়েছে। রূপশ্রী প্রকল্পের সুবিধা ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের ৫ লক্ষ ৫৮ হাজার মেয়ে গ্রহণ করেছেন।
এছাড়াও তিনি মহিলা নিরাপত্তা প্রসঙ্গে বলেন, রাজ্য সরকার মহিলা নিরাপত্তা নিয়ে সব সময় সজাগ। রাজ্যজুড়ে ২০১১ সালের পর থেকে ৪৮টি মহিলা থানা তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি, মহিলাদের অভিযোগের দ্রুত বিচারের জন্য তৈরি করা হয়েছে ফাস্টট্র্যাক আদালত। বিজেপির অভিযোগের পাল্টা উত্তর দিলেও বিজেপি এখনো তাদের মন্তব্যে অনড়। তাদের দাবি, বাংলাতে মহিলা নির্যাতনের কোন রকম বিচার করা হচ্ছে না। এবং এখনো বাংলায় মেয়েরা একেবারেই সুরক্ষিত নয়।