পরপর দলহীন সভা। পরপর আঘাত দলের ওপর। তার এই দলহীন অরাজনৈতিক জনসংযোগ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রীকে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে এখন জল্পনা তুঙ্গে। দল বদলের সম্ভাবনা নিয়েও চলছে চর্চা। এমন অবস্থায় এই রাজ্যে আশা বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের বৈঠকের সভাতে আলোচনা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়েও।
আসন্ন বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের পাঠানো হয়েছে রাজ্যে। বিভিন্ন জেলাকে মোট পাঁচটি জোনে ভাগ করেছে বিজেপি। মেদিনীপুর জেলার দায়িত্বে আছেন বিজেপি নেতা সুনীল দেওধর। মেদিনীপুর জোনের মধ্যে রাখা হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক ও কাঁথি কে। দলীয় সূত্রে খবর যে, মেদিনীপুর জোনে সম্প্রতি বৈঠক করেছিলেন সুনীল দেওধর এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয়। ওই বৈঠকে এই দুই কেন্দ্রীয় নেতা আলোচনায় বসেন দলের জেলা নেতৃত্বদের নিয়ে। কৈলাস বিজয়বর্গীয় সাথে বৈঠকে ছিলেন তমলুকের জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েক, তিনি প্রাক্তন জেলা সভাপতি প্রদীপ দাস, মৃত্যুঞ্জয় পানিগ্রাহী ও শীতল বাগ। সেখানেই আলোচনা হয় শুভেন্দু অধিকারীকে ঘিরে। শুভেন্দুর ভাবমূর্তি নিয়ে কথা হয়েছে এই বৈঠকে। আলোচনা হয়েছে তার দল চালান, অনুগামীদের ভাবমূর্তি এসব নিয়ে।
এইভাবে বিজেপির সাংগঠনিক পর্যালোচনা বৈঠকে শুভেন্দুকে নিয়ে আলোচনা অনেকটাই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। দলীয় বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে আলোচনার কথা স্বীকার করন তমলুক সভাপতি নবারুণ নায়েক। তিনি বলেন,”কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সাথে আলোচনা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে। তবে এটা দলের ভিতরের বিষয়। তা নিয়ে বাইরে কোনও মন্তব্য করা উচিৎ নয়।
বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি প্রদীপ দাস এইদিন বলেন,”দলের কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় জেলা নেতৃত্বের সং বৈঠক হয় শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে। শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের মতামত জানতে চেয়েছিলন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। আমরা সেখানে আমাদের মতামত জানিয়েছি।”