শ্রীনগর: নাগরোটাকাণ্ডে নয়া মোড়। যখন লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা পরিস্থিতি অব্যাহত, ঠিক তখন কাশ্মীরে একের পর এক সংঘর্ষ বিরোধী চুক্তি লঙ্ঘন করে চলেছে পাকিস্তান। যার ফলে উরিতে সেনা-জঙ্গি লড়াইয়ে শহীদ হতে হয়েছিল নদীয়ার তেহট্টের জওয়ান সুবোধ ঘোষকে। তার রেশ কাটতে না কাটতেই জম্মু ও কাশ্মীরের নাগরোটায় সেনা জঙ্গির লড়াইয়ে চারজন জঙ্গিকে নিকেশ করা হলেও একজন সেনা শহীদ হয়েছিলেন। আর এবার এই বিস্ফোরণকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল। জানা গিয়েছে, সম্ভবত সুড়ঙ্গ তৈরি করেই ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল নাগরোটা এনকাউন্টারে নিহত চার পাক জঙ্গি৷ ঘটনার তিন দিন পর বিএসএফ এবং কাশ্মীর পুলিশ সাম্বা সেক্টরে একটি সদ্য খোঁড়া সুড়ঙ্গের খোঁজ পেয়েছে৷ তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই অনুমান করা হচ্ছে।
বিএসএফ আধিকারিকরা এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, নতুন এই সুড়ঙ্গটির মুখ থেকে আন্তর্জাতিক সীমান্তের দূরত্ব মাত্র ১৬০ মিটার৷ আর ভারতের সীমান্ত বেড়ার থেকে দূরত্ব মাত্র ৭০ মিটার৷ মাটি থেকে ২৫ মিটার গভীরে সুড়ঙ্গটি খোঁড়া হয়৷ এ প্রসঙ্গে বিএসএফ-এর জম্মুর আইজি এন এস জামওয়াল বলেছেন, ‘নাগরোটায় এনকাউন্টারে নিহত জঙ্গিরা এই ৩০ থেকে ৪০ মিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গটি ব্যবহার করেছিল বলে মনে করা হচ্ছে৷ কারণ এটি একেবারে নতুন খোঁড়া হয়েছে৷ আমাদের অনুমান, সুড়ঙ্গ পথে ভারতে প্রবেশের পরে কোনও গাইড তাদের হাইওয়ে পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছিল৷’
নিহত জঙ্গিদের জিপিএস সেটে পাওয়া তথ্যে আরও স্পষ্ট, পাকিস্তানের নরোওয়ালের শাকাগড়ের জইশ ক্যাম্প থেকে দীর্ঘ তিরিশ কিলোমিটার হেঁটে সাম্বা সেক্টরের উল্টো দিকে পাকিস্তানের চক বুরা আউটপোস্টে পৌঁছয় চার জঙ্গি৷ সেখান থেকে সুড়ঙ্গ পথে প্রায় ২০০ মিটার হামাগুড়ি দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে তারা।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার ভোরে নাগরোটায় টোল প্লাজায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইতে মারা যায় চার জইশ জঙ্গি৷ তল্লাশির জন্য চালের বস্তা বোঝাই লরিটি থামাতেই চালক পালিয়ে যায়৷ লরির ভিতরে লুকিয়ে থাকা চার জঙ্গি নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে৷ নিরাপত্তা বাহিনীর পাল্টা জবাবে চার জইশ জঙ্গিরই মৃত্যু হয়৷ ২৬/১১ হামলার বর্ষপূর্তিতে শ্রীনগরে বড়সড় হামলা চালানোর লক্ষ্যে তাদের ভারতে পাঠানো হয়েছিল বলে অভিযোগ৷