অ্যাস্ট্রোজেনেকার ভ্যাকসিনের থেকে স্পুটনিক’ ভিভ্যাকসিনের দাম কম,ভদাবি রাশিয়ার
নয়াদিল্লি: দেশে করোনা পরিস্থিতি পুনরায় বেশ উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে কবে ভ্যাকসিন বাজারে আসবে, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। যদিও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিভিন্নভাবে ভ্যাকসিন তৈরি করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। কিছু কিছু দেশে শেষ পর্যায়ে ট্রায়াল চলছে। কিন্তু সাধারণের জন্য কবে কোন ভ্যাকসিন সবার আগে বাজারে আসবে, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা অব্যাহত। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ, মঙ্গলবার সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে বলে দিয়েছেন ভ্যাকসিন কবে আসবে তা বলা সম্ভব নয়। কিন্তু সব রাজ্য যেন আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখে। এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়া জানিয়ে দিল তাদের তৈরি করা করোনার ভ্যাকসিন ব্রিটেনে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রোজেনেকার তৈরি করা ভ্যাকসিনের থেকে অনেক কম দামে পাওয়া যাবে।
কিন্তু প্রশ্ন হল কম দাম হোক বা বেশী দামে পাওয়া যাবে এই ভ্যাকসিন রাশিয়া নিজেদের বাজারে আংশিকভাবে এই ভ্যাকসিন ছেড়ে দিলেও এখনও পর্যন্ত বিশ্বের দরবারে তা ছাড়া হয়নি। তবে যখনই আসবে তখনই সর্বসাধারণের সাধ্যের মধ্যে দাম থাকবে। যদিও অ্যাস্ট্রোজেনেকার ভ্যাকসিন ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া তৈরিতে সাহায্য করছে। তাতে ভারতকে সবার আগে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলেও আশার বাণী শোনানো হয়েছে।
তবে পুতিনের দেশের একটাই দাবি যতই অগ্রাধিকার দেওয়া হোক তা দেওয়া হবে বেশি দামে। এখনও পর্যন্ত নাকি তাদের স্পুৎনিক ভি’ করোনা ভ্যাকসিন সবচেয়ে কম দামে পাওয়া যাবে বলে তারা জোরালো দাবি করেছেন। এমনকি শুধু দাম নয়, কার্যক্ষমতার ক্ষেত্রেও অ্যাস্ট্রোজেনেকার ভ্যাকসিনের থেকে। ভাইজার মর্ডানা এবং রাশিয়ার স্পুতনিক ভি অনেকটাই এগিয়ে বলে দাবি করা হয়েছে। কারণ, অ্যাস্ট্রোজেনেকার তৈরি করোনা ভ্যাকসিন ৭০% সাফল্য দিচ্ছে। যাতে আরও পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করে 90% করার চেষ্টা করছেন ব্রিটেনের বিজ্ঞানীরা। কিন্তু এরই মধ্যে ফাইজার মর্ডান এবং রাশিয়া ৯০% সফলতা দিচ্ছে বলেই খবর পাওয়া গিয়েছে। তাই দাম কমার সঙ্গে এর কার্যক্ষমতা কমবে না বরং বাড়ছে বলেই রাশিয়ার থেকে দাবি করা হয়েছে। যদিও কোন ভ্যাকসিন ভারতের বাজারে প্রথম আসবে, তার উত্তর আজও রয়েছে অধরা। কবে আসবে তা নিয়ে তো কোনও ভবিষ্যৎবাণী করা যাচ্ছেই না। এখন শুধু অপেক্ষা করতে হবে।