দেশের মধ্যে করোনাভাইরাস প্যানডেমিক পরিস্থিতি অনেকটা সামলে উঠলেও একেবারে নির্মূল হয়ে যায়নি। ক্রমে সংক্রমণের হার কমেছে এবং সুস্থতার হার বেড়েছে। কিন্তু এবার যত দ্রুত সম্ভব প্রত্যেকটি রাজ্যের ভ্যাকসিন পৌঁছে দিয়ে করোনাকে নির্মূল করা সবার লক্ষ্য। তাই বর্তমানে করোনা ভ্যাকসিন আসার সম্ভাবনা থাকার প্রাক্কালে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রত্যেকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করে নিচ্ছেন যে কিভাবে ভ্যাকসিন কম সময়ের মধ্যে রাজ্যে পৌঁছে দেওয়া যাবে। এর আগেও একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী লকডাউন ও আনলকের বিষয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে কথা বলেছিল।
বর্তমানে যেসব রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি একটু হলেও ভয়াবহ সেই সমস্ত রাজ্যের সাথে আলাদা বৈঠক করলেন মোদি। সেই রাজ্যগুলির মধ্যে পড়ে পশ্চিমবঙ্গ, ছত্রিশগড়, দিল্লি, গুজরাট, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান এবং কেরালা। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ছাড়াও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন, নীতি আয়োগ সদস্য তথা কেন্দ্রের কোভিড টাক্সফোর্স এর প্রধান ভি কে পাল উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের শুরুতেই করোনা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। তারপরই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তিনটি টার্গেট বেধে দেয়।
- প্রথমত, অমিত শাহ জানিয়েছেন প্রত্যেক রাজ্যকে নিশ্চিত করতে হবে যে তাদের করোনায় মৃত্যুহার এক শতাংশের নিচে গেছে।
- দ্বিতীয়ত, প্রত্যেকটি রাজ্যে পজিটিভ করণা কেসের রেট ৫ শতাংশের নিচে নিয়ে যাওয়ার টার্গেট দিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ রাজ্যে যতসংখ্যক করোনা পরীক্ষা হবে তার ৫ শতাংশের কম রিপোর্ট পজেটিভ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রাখতে হবে।
- তৃতীয়ত, প্রত্যেকটি রাজ্যে অমিত শাহ ডাইনামিক কনটেইনমেন্ট জোন তৈরীর উপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন প্রতি সপ্তাহে ডেটা অনুযায়ী, নতুন করে কনটেইনমেন্ট জোন এর তালিকা প্রস্তুত করতে হবে রাজ্যকে।
করোনা ভ্যাকসিন যত দ্রুত সম্ভব রাজ্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করার কেন্দ্র জানিয়েছে। উত্তর ও পশ্চিম ভারতে শীতে বাড়তেই করণা কেসের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই প্রায়োরিটি সেক্টরে সেই সমস্ত রাজ্যগুলিতে কি করে আগে পৌঁছে দেয়া যায় সেই নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের সাথে সকল রকম সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন যত দ্রুত সম্ভব রাজ্যে ভ্যাকসিন পাঠানো হলে সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্য মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে শুরু করে দেবে। ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য রাজ্যে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো প্রস্তুত আছে।