কলকাতা: ভারতে এখনও পর্যন্ত করোনার কোনও ভ্যাকসিন বাজারে বের হয়নি। যদিও সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার তত্ত্বাবধানে কোভিশিল্ড যা ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রোজেনেকা মিলে তৈরি করেছে, সেই ভ্যাকসিনের শেষ পর্যায়ে ট্রায়াল চলছে ভারতে। এরইমধ্যে বাংলায় পৌঁছল করোনা ভ্যাকসিন। নাইসেডে ঢুকল ভারত বায়োটেকের তৈরি কো-ভ্যাকসিন। আর কলকাতায় এই ভ্যাকসিন পা রাখা মাত্র নাইসেডের তরফ থেকে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে স্বেচ্ছাসেবী হওয়ার আহ্বান করা হয়েছে। তিনিও হাসিমুখে সেই আহ্বান গ্রহণ করেছেন তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘রাজ্যের মানুষদের জন্য এটুকু করতে পারলে নিজেকে আমি ধন্য মনে করব।’
আগামী ডিসেম্বর থেকেই শুরু হয়ে যাবে করোনা ভ্যাকসিনের তৃতীয় দফার পরীক্ষা। গোটা দেশে ২৫৮০০ জনের শরীরে প্রয়োগ করা হবে ভ্যাকসিন। যার মধ্যে বাংলায় ১০০০টি ভ্যাকসিন আনা হয়েছে। ফলে ১০০০ জনের শরীরে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে।
জানা গিয়েছে, ভ্যাকসিনগুলি সংরক্ষণ করা হয়েছে মাইনাস ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ১০০০টি ভ্যাকসিন নাইসেডে সংরক্ষণ করা হয়েছে। পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি বা এনআইভি এবং ভারত বায়োটেকের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে কো-ভ্যাকসিন।নাইসেডের অধিকর্তা শান্তা দত্ত এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটা থার্ড ফেসের ট্রায়াল। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’ এই ট্রায়াল’ শেষে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়, এখন সেটাই দেখার।