রাজীব ঘোষ: পাকিস্তানের মধ্যে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ দমনের জন্য ভূমিকা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে।আন্তর্জাতিক মহলের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে জানানো হয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে কোনো কথা না বলে দেশের ভিতরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বন্ধ করতে হবে।কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকেই পাকিস্তান একের পর এক হুশিয়ারী দিয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে।ভারতের সঙ্গে সমস্ত ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে পাকিস্তান।আন্তর্জাতিক স্তরে কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল পাকিস্তান।কিন্তু কোনো চেষ্টা সফল হয় নি।
বিশ্বের প্রায় সব শক্তিধর রাষ্ট্র জানিয়ে দিয়েছে, ভারতের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে।পাকিস্তানের হুশিয়ারীর যোগ্য জবাব ভারত দিয়েছে।একমাত্র চীন ছাড়া বিশ্বের সব দেশ কাশ্মীর ইস্যু ভারতের দাবি মেনে অভ্যন্তরীন বিষয় বলে জানিয়ে দিয়েছে।একদিকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের অভিযোগ, অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে বানিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পরে বিশ্বের যেসব দেশ থেকে পাকিস্তান অর্থনৈতিক সাহায্য পেয়ে থাকে, সেগুলির বরাদ্দ অনেকটাই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।ফলে পাকিস্তানের অর্থনীতির অবস্থা এই মূহুর্তে যথেষ্ট খারাপ। ২০১০ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে আমেরিকার আর্থিক সাহায্যের বিষয়ে চুক্তি হয়েছিল।সেই চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তান এতদিন আমেরিকার কাছে থেকে একটা বৃহৎ পরিমাণ অর্থ সাহায্য পেতো।এবার আমেরিকা সেই সাহায্যের পরিমাণ ৪৪০ মিলিয়ন ডলার কমিয়ে দিয়েছে।যেটা পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থাকে যথেষ্ট খারাপ করেছে।
আমেরিকা প্রতি বছর পাকিস্তানকে ভারতীয় মুদ্রায় ৩১,০০০ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য দিতো।সেটা আমেরিকা এই সময় পাকিস্তানকে অনেক কমিয়ে দেওয়ায় পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব খারাপ হয়েছে।চীন, সৌদি আরব, ইন্টারন্যাশনাল মিলিটারি ফান্ডের উপর যথেষ্ট নির্ভরশীল পাকিস্তানের অর্থনীতি।ভারতের সঙ্গে বানিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক সাহায্যের পরিমাণ কমে যাওয়ায় পাকিস্তানের মধ্যে সমস্যা তৈরী হয়েছে।কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান যে অবস্থান নিয়েছে, তার ফলে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যথেষ্ট চাপে রয়েছেন।