কলকাতা: সালটা ছিল ২০০৮। কলকাতায় প্রথমবার পা রেখেছিলেন ফুটবলের রাজপুত্র। তিলোত্তমায় এসে তাঁকে ঘিরে উন্মাদনা দেখে নিজেই অভিভূত হয়ে গিয়েছিলেন মারাদোনা৷ মিশে গিয়েছিলেন শহরের ফুটবল পাগল জনতার সঙ্গে৷ কারা ছিল না সেই ভিড়ে? কচিকাঁচা, বয়স্ক, প্রাপ্তবয়স্ক, সাধারণ মানুষ, সেলিব্রেটি, ঐতিহাসিক দিনে সবাই যেন মিলে মিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল।
সেবার কলকাতায় এসে মোহনবাগান মাঠে গিয়েছিলেন মারাদোনা৷ একের পর এক বল মেরেছিলেন গ্যালারির উদ্দেশ্যে৷ নিজের বিখ্যাত ভঙ্গিমায় বুকে হাত ঠুকে সেদিন তিনি যেন বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, কলকাতার পাগল করা ফুটবল ভক্তদের ভালবেসে ফেলেছেন তিনি।
ভৌগোলিক দূরত্বে আর্জেন্টিনা থেকে কলকাতার সীমা যোজন-যোজন হলেও, ভালবাসা কি সেই বাঁধ মানে? তাই ন’বছর পর ২০১৭ সালে তিনদিনের সফরে দ্বিতীয়বারের জন্য ফের কলকাতায় এসেছিলেন মারাদোনা৷ সেবার বারাসত স্টেডিয়ামে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে অংশ নিয়েছিলেন একটি প্রদর্শনী ফুটবল ম্যাচে৷ দীর্ঘ ন’বছর পর ফুটবলের রাজপুত্রকে চোখের সামনে দেখে কার্যত আপ্লুত হয়ে গিয়েছিল কলকাতার ফুটবলপ্রেমী বাঙালিরা।সেদিনও তাঁকে দেখে বোঝার উপায় ছিলনা যে, তিনি আর্জেন্টিনার হিরো। মনে হচ্ছিল মারাদোনা যেন ঘরের ছেলে।
ফুটবলের রাজপুত্রের বিদায় নেওয়ার খবরে তাই মন খারাপ কলকাতারও৷ পাগল করা ফুটবলপ্রেমীদের মত যেন কলকাতাও চিৎকার করে বলছে ফুটবলের রাজপুত্রের মৃত্যু কখনও হয়না, হতে পারে না।