নেতাজির জন্মবার্ষিকীতে বিশেষ কমিটি গঠন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কমিটিতে থাকতে চলেছেন নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন, অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়, সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এবং কবি শঙ্ক ঘোষ। এই কমিটির প্রধান এবং চেয়ারপার্সন থাকতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। কমিটিতে থাকতে চলেছেন সুগত বসুও। এছাড়াও থাকছেন বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা।
এইদিন একটি সাংবাদিক বৈঠকে এই কমিটির ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মতে এই কমিটি গড়ার ফলে তার দেখাদেখি বাকি রাজ্যরাও এরম কমিটি গড়বে। এছাড়াও এইদিন মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন যে তিনি তাদের হাতে থাকা সব তথ্য ইতিমধ্যেই দিয়েছেন।
কেবল বাংলাতেই নয় জাতীয় স্তরে সম্মান করা হয় নেতাজিকে। তার কর্মকাণ্ড বিস্তর। ভারতের স্বাধীনতার ক্ষেত্রেও তার ভূমিকা অপরিসীম। তবে মুখ্যমন্ত্রীর মতে নেতাজি এবং তার সহকর্মীরা বাকিদের পরিপ্রেক্ষিতে অনেকটাই অবহেলিত। এই দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”নেতাজির জন্মদিন আমরা সকলে জানি, কিন্তু কেউ জানিনা তার মৃত্যুদিন সম্পর্কে। জানিনা কীভাবে তার মৃত্যু হল। সেই বিষয়টি এখনও অস্পষ্ট।” এইদিন মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ইতিহাসকে অনেকটাই বিকৃত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, যাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভূমিকা কম, তাদের অনেকটাই সামনে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
কিছুদিন আগেই নেতাজির জন্মদিনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লেখেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই চিঠিতে তিনি আবেদন করেছিল ২৩ এ জানুয়ারি নেতাজি সুভষচন্দ্র বসুর জন্মদিনকে ‘জাতীয় ছুটি’এর দিন হিসেবে ঘোষণার জন্য। সেই চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী আরও অনুরোধ করেছিলেন, যাতে নেতাজির ১২৫ তম জন্মবার্ষিকীর আগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীর মতে ২৩ এ জানুয়ারি পালন করা হয় গোটা দেশ জুড়ে। সেই কারণে এই দিনটিকে জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করে দেওয়া উচিৎ বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই কারণের ব্যক্তিগত ভাবে উদ্যোগী হয়েছেন তিনি। অনুরোধ জানিয়েছেন চিঠির মাধ্যমে।