কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প এবং রাজ্যের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের তুলনা করে এদিন কেন্দ্রকে একহাত নিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প এবং আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের একটি তুলনামূলক আলোচনা করলেন। রাজ্য এবং কেন্দ্রের দুটি প্রকল্পকে পাশাপাশি রেখে তিনি রীতিমতো চার্ট বানিয়ে অনুকরণ ছেড়ে অনুসরণের পথ দেখিয়ে দিলেন মোদি কে। প্রধানমন্ত্রী কে ট্যাগ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে তিনি তাকে শিক্ষা নেওয়ার পরামর্শ দেন।
খাদ্য সাথী প্রকল্প বনাম আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প-
টুইটারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প এবং আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প অনেক দিক থেকে আলাদা। দুটির মধ্যে প্রায় ৬টি বিষয় এর তুলনা আছে। তিনি জানিয়েছন, গত ২০১৬ সালে রাজ্যের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প চালু হয়েছিল। অন্যদিকে কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু হয়েছে ২০১৮ সালে, প্রায় দুই বছর পরে। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প রাজ্যের প্রায় ১০০ শতাংশ বাড়িয়ে কভার করেছে। অন্যদিকে, তার তালিকাতে তিনি আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের জায়গা ফাঁকা রেখেছেন। এর মাধ্যমে তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ব্যর্থতা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। এছাড়াও, তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন নারী শক্তির কথা। কিভাবে মহিলারা রাজ্যে সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে এটা তিনি দেখিয়েছেন।
অন্যদিকে তিনি দেখিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রকল্প কিভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেছেন মহিলারা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না। ভোটের আগে এই সমস্ত তুলনা তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন সকলকে। এছাড়া তিনি জানিয়েছেন, এই প্রকল্পে স্মার্ট কার্ডের সুবিধা এর মাধ্যমে দ্রুত হসপিটালাইজেশনের সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রের এই প্রকল্পে কোনরকম এরকম উদ্যোগ নেই।
শুধু এটুকু না, অভিষেক ব্যানার্জি আরো মনে করিয়ে দিয়েছেন, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে রাজ্যের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের স্মার্ট কার্ড মানুষের হাতে চলে যায়। কিন্তু কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের কার্ড পেতে হলে মানুষকে খরচ করতে হচ্ছে ৩০ টাকা। এই একটি কার্ডের জন্য কেন্দ্র মানুষের কাছ থেকে নিচ্ছে ৩০ টাকা। এভাবে প্রায় ৬,০০০ কোটি মানুষের কাছ থেকে এই টাকা নেওয়া হয়েছে। তিনি জানতে চেয়েছেন, এই টাকা কার পকেটে যাচ্ছে?