নয়াদিল্লি: কয়লা পাচারকাণ্ডে অনেকদিন ধরেই তদন্ত করছে সিবিআই। আর এবার আয়কর দফতরের থেকে পাওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে নতুন করে এফআইআর দায়ের করল সিবিআই। কলকাতা পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা (অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চ)-এর অধীনে এই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এই এফআইআরে ইসিএলের বেশ কয়েকজন কর্তার নাম রয়েছে। এমনকি অনুপ মাঝি ওরফে লালা সহ বেশ কয়েকজন তাবড় তাবড় ব্যবসায়ীদের নাম জড়িয়েছে এই এফআইআরে। কয়লা পাচারকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালাকে হাতে পেতে মরিয়া সিবিআই। আজ, শনিবার কলকাতা সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালান সিবিআই আধিকারিকরা। কলকাতা, আসানসোল, দুর্গাপুর, রানীগঞ্জ, পুরুলিয়া এবং পশ্চিম বর্ধমানের বেশ কয়েকটি জায়গায় সিবিআই আধিকারিকরা তল্লাশি করেছেন। এর পাশাপাশি বিহারের কিছু অংশে তল্লাশি চালানো হয়। উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ডের বেশ কিছু জায়গাতেও তল্লাশি চালান বলে জানা গিয়েছে।
আয়কর দফতরের পক্ষ থেকে লালার অফিস শেক্সপিয়ার সরণিতে এবং পুরুলিয়ার বাড়িতে ও কলকাতার বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পর থেকেই কার্যত বেপাত্তা হয়ে গিয়েছে সে। আজ সল্টলেক সেক্টর ওয়ানের দুটি ঠিকানার খোঁজে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু এখনও সে সিবিআইদের হাতের নাগালের বাইরেই রয়েছে। তাকে হাতে পেলেই কয়লা পাচারকাণ্ডে আরও অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসবে বলে মনে করছে সিবিআই।