মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগের পরে প্রথমবারের জন্য সভা করতে চলেছেন শুভেন্দু। সেই সভার আগে সভা এলাকা ঢেকে গেল শিবসেনার পতাকায়। তবে এটি কি কোনও আভাষ? নাকি নিছকই কোনও রাজনৈতিক ফন্দি? তা জনা না থাকলেও, এই পতাকাকে ঘিরে তুঙ্গে উঠেছে জল্পনার ঝড়। মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরে ২৯ এ নভেম্বর অর্থাৎ কাল অরাজনৈতিক ব্যানারে প্রথম সভা করতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সভা হবে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের ছোলাবাড়িতে। কিন্তু তার ঠিক আগে এইদিন গোটা মহিষাদল এলাকায় দেখা গেল শিবসেনার পতাকা।
তার ঠিক সভার আগে শিবসেনার এত পতাকা কেন? তবে কি নতুন জটিলতা? নতুন সমীকরণ? ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে এই বিষয়কে নিয়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রবিবার মহিষাদলে প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামী রণজিৎ বয়ালের স্বরণে সভার আয়োজন করা হয়েছে। সেই সভায় থাকছেনা কোনও রাজনৈতিক ব্যানার। সভা আয়োজন করা হয়েছে জনকল্যাণ সমিতির ব্যানারে। উপস্থিত থাকবেন সমিতির সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী নিজে।
এই সভার আগেই এলাকায় দেখা গিয়েছে শিবসেনার পতাকা। হঠাৎ করে এতো পতাকা কেন? সেই বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে অনেকের মনে। তবে শাসক শিবির হতে দাবি করা হয়েছে যে ভোটের আগে এমন পতাকা দেওয়া টা স্বাভাবিক। এমনটাই বলেছেন মহিষাদল ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তিলক চক্রবর্তী।
অন্যদিকে এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা ও। তাদের মতে,শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপি যোগ দেওয়ার এখনও কোনও নিশ্চিত খবর নেই। এই বিষয়ে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তপন ব্যানার্জি বলেন,প্রতিটি দলের পতাকা দেওয়ার অধিকার করেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের অন্যতম একটি দল হল শিবসেনা। ২০০৯ সালে শেষবার তাদের দেখা গিয়েছিল তমলুকে প্রার্থী দিতে। তারপর আর কোনও ভোটেই দেখা যায়নি তাদের। তারপর হঠাৎ এইদিন শিবসেনার পতাকা অবাক করেছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ও। তবে কি শুভেন্দু নতুন করে শিবসেনার হাত ধরে যাত্রা শুরু করবেন? সেই বিষয়ে উঠেছে জল্পনা এবং সমালোচনার ঝড়।