নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকারের তৈরি করা নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে হরিয়ানা, পাঞ্জাব, রাজস্থান, কেরালা থেকে হাজার হাজার কৃষকরা কৃষক আন্দোলন করছে। পায়ে হেঁটে ‘দিল্লি চলো’-র ডাক দিয়েছে হাজার হাজার কৃষক। আর সেই কৃষকদের আটকাতে হরিয়ানায় পুলিশরা যেভাবে লাঠিচার্জ করে শীতের মধ্যে জলকামান ছুঁড়েছে, তাদের ধিক্কার জানিয়েছে গোটা দেশ। আর সেই জলকামানের মুখোমুখি হয়েছেন এক বীর সাহসী যুবক। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়া মাত্র তাকে ‘হিরো’ তকমা দেওয়া হয়েছে। আর এবার কৃষক আন্দোলন থামানোর জন্য দিল্লিতে বিক্ষোভকারী কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
শনিবার এ প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, ‘সরকার যে কোনও সময় আলোচনার জন্য তৈরি। আপনারা রাস্তায় বসে আন্দোলন করবেন না। পুলিশের চিহ্নিত করা জায়গায় বসে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করুন। কৃষিমন্ত্রী আগামী ৩ ডিসেম্বর আলোচনায় বসতে চান। দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে বিভিন্ন কৃষক ইউনিয়নের ডাকে যারা রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন, তারা এই জায়গা থেকে সরে আসুন। আপনারা যদি তার আগে অর্থাৎ ৩ ডিসেম্বরের আগে আলোচনায় বসতে চান, তাহলে বলব, আমরা তাতেও রাজি। কিন্তু সরকারের নির্দিষ্ট করা জায়গায় বসে আপনারা যেদিন আন্দোলন করবেন, তার পরদিনই আমরা আলোচনায় বসব। এতে আপনাদের সুবিধা হবে এবং রাস্তায় যাতায়াতকারীদেরও সুবিধা হবে।’
তবে কৃষকরা এতটুকু সরকারকে বিশ্বাস করছে না। ভারতের কৃষি ইউনিয়নের পাঞ্জাব শাখার প্রেসিডেন্ট জগজিৎ সিং এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শর্ত দিয়ে আলোচনায় বসার কথা বলেছেন। তিনি যদি কোনও শর্ত না দিয়ে আলোচনায় বসার কথা বলতেন, তাহলে ভাল হত। এ বিষয়ে আমরা আজ, রবিবার বৈঠক করব। তারপর সিদ্ধান্ত নেব। এখন কিছুই বলা যাচ্ছে না। পরবর্তীকালে এই কৃষক আন্দোলন কোনদিকে মোড় নেয়, এখন সেটাই দেখার।