রাষ্ট্রপতির শাসনের পর পড়ে যেতে পারে সরকার। এমনটাই দাবি করেছে বাংলার বিজেপি সংগঠন। তাদের দাবি, ডিসেম্বরেই সংখ্যা লঘু হয়ে পড়বে তৃণমূল সরকার। এইবার একই সুরে তাল মেলালেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু এবং বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁ। তাদের দাবি, ৭ থেকে ১৫ ই ডিসেম্বরের মধ্যে পড়ে যাবে তৃণমূল সরকার।
টার্গেট ২০২১, ক্রমশই বাড়ছে তৃণমূল সরকারের দিকে গেরুয়া শিবিরের আক্রমণ। তারই মাঝে পদত্যাগ করেছেন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার পরেই ‘গেল গেল’ রব তুলেছে গেরুয়া শিবির। তাদের বিশ্বাস, নন্দীগ্রামের বিধায়ক আর কিছুদিনের মধ্যে করবেন দল বদল। তাদের দাবি, শুভেন্দুর সাথে আসতে চলেছেন আরও অনেক নেতা। কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী তৃণমূল ছেড়ে ইতিমধ্যেই যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। সুর হারাচ্ছেন একের পর এক নেতা। অন্যদিকে জল্পনা ক্রমে বেড়েই চলেছে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে। এই বিষয়ে বহুবার কটাক্ষ করেছে গেরুয়া শিবির। তারা বলেছেন,”মুষল পর্ব চলছে তৃণমূলে”। তাদের মতে, পরিস্থিতির চাপে পড়ে যাবে সরকার। সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে তৃণমূল সরকার।
আরও এক ধাপ এগিয়ে কটাক্ষ করতে দেখা গেছে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ কে। এইদিন তিনি বলেছেন,”তৃণমূলের যা অবস্থা যে কোনও সময় সংখ্যা গরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে ডাকবেন রাজ্যপাল। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যেই ভেঙে যাবে তৃণমূল সরকার।” রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এক মাস পর তৃণমূল দল থাকবেনা। এইদিন এমনটাই দাবি করেছেন বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি। বিষ্ণুপুরের সাংসদের মতে,”সময় আসছে যেসময় সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ১৪৯ জন বিধায়কের সমর্থন দেখানো ওদের পক্ষে সম্ভব হবেনা।”
অন্যদিকে একই দাবি তুলেছেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু ও। তার বক্তব্য, ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে তৃণমূল। এই কথা গতকাল বিজেপির বাংলা সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও বলেছিলেন।