কলকাতা: একে তো গোটা বছরে করোনার কারণে জেরবার মানুষের জীবন। তার ওপর শীত পড়লেও বাজারে গেলে লাগছে ছ্যাকা। ভালো-মন্দ কবজি ডুবিয়ে খাওয়া তো দূরের কথা, ন্যূনতম ভাত, ডাল, রুটি সঙ্গে আলু-পেঁয়াজ ভাজা খেতে গেলেও কালঘাম ছুটে হচ্ছে মধ্যবিত্তদের। বাজার কার্যত অগ্নিমূল্য। শাক-সবজি থেকে আলু-পেঁয়াজ কোনও কিছুই যেন কম দামে পাওয়া এখন স্বপ্নাতীত ব্যাপার। এরই মাঝে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সরষের তেলের দাম।
করোনার কারণে বদলে যাওয়া মানুষের জীবনে যে দুবেলা দুটো ভাত আলু সেদ্ধ দিয়ে মেখে খাবে, তার উপায় নেই। কারণ, তেল দিয়ে আলু সেদ্ধ মাখার সামর্থ্য এখন হচ্ছে না অনেক মানুষেরই। একেই করোনা পরিস্থিতির কারণে কাজ হারিয়েছে অনেকে। তার ওপর যেভাবে দাম ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে, তাতে ঝাঁজ লাগছে মধ্যবিত্তদের। খুচরা বাজারে সরষের তেলের দাম ১৭০ টাকা প্রতি লিটার ছুঁই ছুঁই।
জানা গিয়েছে, হিসেব বলছে প্রতিটি ব্র্যান্ডেড তেলে লিটার পিছুকর্গাঅ ১০ বা ২০ টাকা দাম বেড়েছে। ইঞ্জিনের দাম ১৪৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৬৫ টাকা। ইমামির লিটারপ্রতি তেলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৮ টাকা থেকে ১৩৮ টাকা। ফর্চুনের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে লিটার প্রতি ১২৫ থেকে ১৩৮ টাকা।
আলু-পেঁয়াজের দাম এভাবে ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। মমতার তীব্র সমালোচনা করতে পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন হুগলির লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। সব মিলিয়ে আলু, পেঁয়াজ, শাক-সবজির পর সরষের তেলের দাম রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে আমজনতার।