নিউজপলিটিক্সরাজ্য

তৃণমূলের দুয়ারে দুয়ারে প্রকল্পের পাল্টা তৃণমূলের দুর্নীতির খতিয়ান নিয়ে মানুষের দোরে দোরে যাবে বিজেপি, শুরু হচ্ছে ‘ আর নয় অন্যায় ‘ কর্মসূচি

Advertisement

ইতিমধ্যেই দুয়ারে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। এবার সেই কর্মসূচির পাল্টা বাংলা প্রতিটি মানুষের দোরে দোরে যাওয়ার প্রকল্প শুরু করে দিলো বঙ্গ বিজেপি। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে – ‘ আর নয় অন্যায় ‘। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ প্রকল্পটির শুভ উদ্বোধন করে বলেন,” রাজ্য সরকারের সমস্ত অন্যায়ের প্রতিচ্ছবি নিয়ে সাধারণ মানুষের দরজায় দরজায় পৌঁছাবে বিজেপি। তুলে ধরা হবে আম্ফান এবং আয়লার সময় রাজ্য সরকারের করা সমস্ত দুর্নীতির তথ্য। বিলি করা হবে লিফলেট।”

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে দিলীপ ঘোষ বলেন,” রাজ্য সরকারের সমস্ত দুর্নীতি এবং জনবিরোধী কাজের খতিয়ান নিয়ে পৌছে যাব প্রত্যেক মানুষের দোরগোড়ায়। আর নয় অন্যায় এর দ্বিতীয় দফা শুরু হচ্ছে। প্রত্যেক মানুষের বাড়ি পৌঁছাব লিফলেট নিয়ে। প্রধানমন্ত্রীর চিঠি নিয়ে জুন-জুলাই মাসে ১ কোটি মানুষের বাড়ি গিয়েছিলাম। এবারে ১ কোটির বেশি মানুষের বাড়ি যাব। আগামী ৫ তারিখ দুপুর ১২টা থেকে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত জেলার সমস্ত বুথে এই কর্মসূচি শুরু করা হবে।”

ইতিমধ্যেই, আম্ফান দুর্নীতি নিয়ে তদন্তের দায়ভার ক্যাগকে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ওই রায় ঘোষণার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্র কে নিশানা করেন। মঙ্গলবার তিনি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বললেন,” আমফানের ২৫০০০ টাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন? ওখানে যে প্রধানমন্ত্রী কেয়ার ফান্ডের লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে দুর্নীতি হয়ে গেল সে ব্যাপারে কোনো অডিট হচ্ছে না? আইন দুই ক্ষেত্রে দু’রকম হবে কেনো? আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বলছি না, আমি একজন সাধারন মানুষ হিসেবে বলছি। এরা গরীব, কেউ ১ হাজার আর কেউ ২ হাজার নিয়েছে। যদি কেউ নিয়ে থাকে, আমরা তা রিভিউ করে ফেরত পাঠিয়েছে। তুমি সরকারের কথা শুনছো না। কেন্দ্রের নির্দেশ থেকে এই সমস্ত করাচ্ছো।” অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পাল্টা দিলীপ ঘোষ বললেন,” মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ভুল হয়েছে। আসলে ভুল হয়নি দুর্নীতি হয়েছে। ”

আম্ফান এর পাশাপাশি আয়লার ত্রাণ নিয়েও দুর্নীতি হয়েছে বলে দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেছেন। তার অভিযোগ, ” আয়লা দুর্নীতির তদন্ত হোক। ২০০৯ সালে টাকা এসেছিল। সেই সময় সিপিএমের লোক ছিল। তবে তৃণমূলের লোক বেশি ছিল। ওই টাকা দিয়ে সুন্দরবনে পাকা বাড়ি হতে পারত। সেই টাকা কোথায় আছে। সেই টাকার তদন্ত হোক। ” তবে এই অভিযোগ নিয়ে তৃণমূলের পাল্টা এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Related Articles

Back to top button