তেলেঙ্গানা: বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলি ছাড়া অন্যান্য রাজ্যে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে গেরুয়া শিবির। যেসব রাজ্যের সরকার বিজেপি নয়, সেসব রাজ্যে নিজেদের সরকার গড়ার পথে এগোচ্ছে বিজেপি। আগামী বছর এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য এখন থেকেই রণকৌশল সাজাতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। তেলেঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনের আগে হায়দরাবাদে পুরনিগম নির্বাচনে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করার পথে একধাপ এগিয়ে গেল গেরুয়া শিবির।
আজ, শুক্রবার হায়দরাবাদের পুরনিগাম নির্বাচনের ফল ঘোষণা হচ্ছে। যেখানে প্রথম ধাপে এগিয়ে গিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু মাঝের দিকে বেশ খানিকটা পিছিয়ে যেতে হয় দলকে। ঠিক সেই সময় অনেকটাই এগিয়ে যায় তেলঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির বা টিআরএস। কিন্তু পর মুহুর্তে সেই ধাক্কা সামলে ফের একবার ঘুরে দাঁড়ায় গেরুয়া শিবির৷ সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ৫০টি আসনে এগিয়ে রয়েছে টিআরএস, ৪০টিতে এগিয়ে বিজেপি৷ আর এআইএমআইএম এগিয়ে রয়েছে ২৫টি আসনে৷ তবে মিম মাত্র ৫১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল৷ সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে যথেষ্ট ভাল ফলের দিকেই এগোচ্ছে তারা৷
হায়দরাবাদের পুরনিগাম নির্বাচনী প্রচারে রোহিঙ্গা, পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারী এই সকল প্রসঙ্গ তুলেছিল বিজেপি। এমনকি প্রচারে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অন্যান্য স্থানীয় নেতা-নেত্রীরাও এই নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন। আর সেক্ষেত্রে অমিত শাহের উপস্থিতিটাও হয়তো কিছুটা হলেও এক্স ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতে পারে বিজেপির কাছে। যদিও শেষ মুহূর্তে ফল কী হয়, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবুও তেলেঙ্গানায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে হায়দরাবাদের পুরনির্বাচনের ফল এটাই জানান দিচ্ছে যে, দক্ষিণের এই রাজ্যে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হচ্ছে বিজেপি। তবে এবারের নির্বাচনের ফলাফলের যা গতিপ্রকৃতি, তাতে ভোটের ফলাফল ত্রিশঙ্কুও হতে পারে৷ সেক্ষেত্রে নিজামের শহর দখল করতে কে কার সঙ্গে হাত মেলায়, সেদিকেও গোটা দেশের নজর থাকবে৷